“A film is never really good unless the camera is an eye in the head of a poet.” — Orson Welles
Labour of Love
এক ঘূর্ণিয়মান নিম্ন মধ্য বিত্ত দাম্পতির ভালোবাসার সংগ্রামে ঠিকে থাকার গল্প “আসা যাওয়ার মাঝে – Labour Of Love”। নিম্ন মধ্য বিত্ত জীবনের সংগ্রামরত একটি দিনের চিত্রাঙ্কিত হয় এই সিনেমাতে। দু’জনই কাজ করে বিকল্প শিফটে। দেখা হয় মাত্র এক মুহূর্তের জন্য। অঙ্কিত হয় ভালোবাসার অনুভূতি। যেখানে দৃষ্টিতেই জানা যায় অতুলন্তের কথা। প্রশ্বাসেই মিটে যায় জাগতিক চাহিদা। দু’জনেই হারিয়ে যায় এক কাপ চা’য়ে, এক দৃষ্টি আয়নাতে।
সিনেমার গল্প বলতে একটি মুহূর্তের জন্য এক দৃষ্টি তাকিয়ে থাকা। আর তাকানোতেই বোঝা যায় গভীরতা। ভালোবাসার উষ্ণতা।
সাধারণত আমরা সিনেমাতে দেখি খুব খুব ছোট ছোট দৃশ্য মিলে একটা দৃশ্য হয়। কিন্তু আমার কাছে এই সিনেমার ব্যাপারে মনে হয়ছে অন্যরকম। একটি একটি দৃশ্য মিলেই একটা সিনেমা হয়েছে। এমনটা বলছি কারণ, এই সিনেমার প্রতিটা দৃশ্য বেশ খানিকটা বড় বড়। সূর্য ডুবা থেকে অন্ধকার নেমে আসা, পায়ের ছাপ পড়া থেকে মিলিয়ে যায় পর্যন্ত একভাবে দৃশ্যটা আটকে থাকে চোখের সামনে। কোন সময় বিরক্তি আসেনি দেখতে। কারণ, পরের দৃশ্যটা যে খুবই নিপুণতার সাথে মিলিয়েই রাখা হয়েছে। পায়ের ছাপ মিলিয়ে যাওয়ার শেষ দেখা যাচ্ছে এক খণ্ড আয়নার সামনে সিঁথিতে সিঁদুর দিচ্ছে।
সিনেমাটা এক রকম নির্বাক বলা যায়। শব্দের থেকে দৃশ্যের দিকে চোখ আটকে যায় বেশী।
যারা ফাস্ট সিনেমা দেখায় অভ্যস্থ তাদের জন্য হইতোবা এই সিনেমাটা দেখা ভালো একপ্রেরিয়েন্স হবে না। তবে সত্যি যদি চাহনিরতে ভালোবাসার উষ্ণতা অনুভব করতে চান তবে অবশ্যয় দেখতে হবে এই সিনেমা।
অভিনয়ঃ
ঋত্বিক চক্রবর্তী, বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়,
পরিচালকঃ
আদিত্য বিক্রম সেনগুপ্ত
IMDB: 7.9/10 (275)
https://goo.gl/qAPQj0