আমার যখন জন্ম নিতে ইচ্ছে করে,
তখন আমি রোদ্দুরের ওপর, জল কাদার ওপর, মাঠের কুয়াশার ওপর শুয়ে পড়ি।
আমার যখন জল তেষ্টা পায় তখন মেয়েদের কথাবার্তা শুনি, বন্ধুর বোনকে নাম ধরে ডাকি, প্রেমিকার পাশে গিয়েও বসি।
আমার যখন হাঁটতে ইচ্ছে করে , রাস্তাকে বলি সোনাঝুরি নিয়ে চলো, প্রেমিকার বাবাকে বলি- তাড়া করুন,
বন্ধুকে ডেকে বলি বিকেলে সময় হবে?
আমার যখন খুব খেলতে ইচ্ছে করে মাঠকে বলি কিশোরীর ফ্রক হও,
দাবার ঘুঁটিকে বলি আঙুল হয়ে যেতে পারবে?
আমার যখন খুব বমি করতে ইচ্ছে করে, ধর্মগুরুদের বেসিনে শুইয়ে দিই,
ভাত দেবার ক্ষমতা নেই ভাষণ দেবার নেতাকে বলি
ওরে হাঁ কর্ গলা শুকোয় নি?
যখন স্নান করতে ইচ্ছে করে আমার প্রেমিকাকে বলি অভিমান করো,
মা’কে বলি অভিশাপ দাও,
পাড়ার লোককে কখনও ছি ছি করতেও বলি।
আর রোজ রাতে ডানা ভেঙে বাড়ি ফেরার পর যখন মৃত্যুর ওপর শুয়ে পড়তে ইচ্ছে করে
তখন তোমাকে বলি চিতা হও – আগুনের মাদুর পাতো।
নয়তো কবরের মাটি হও।
ওরা তোমাকে দিয়ে আমায় ঢেকে দিক্।
কফিনও হতে পারো-
ওরা আমাকে তোমার ভেতর ভরে দিয়ে পেরেক ঠুকে দিক্।
ওরা যাকে পেরেক বলে তুমি তো জানো তার আসল নাম।
ওদের অজান্তেই আমাকে বন্দী করতে
ওরা তোমার গায়ে ভালোবাসা ঠুকে দেবে।
আমি তো জন্ম নিয়ে , খেলে এসে, জল খেয়ে , বমি করে, স্নান সেরে মৃত্যুকেই বেছে নিলাম।
তুমি একটা পেরেক সহ্য করবে না বলো ?
সুদীপ রাহা ফেচবুক