গল্পটা চার বন্ধু হরি, শেখর, অসীম ও সঞ্জয়ের। ইস্কুল থেকে এদের বন্ধুত্ব। অসীম-ই এর মধ্যে রোজগার করা ব্যাক্তি ছিল, আগে সে ডাক্তারি করত। তাদের জীবন ছিল একঘেয়েমি পূর্ণ, ভবিষ্যতে কি করবে তার কোন’ই ঠিক ছিল না। তারা শুরু করে বাংলা ব্যান্ড। যেখানে হরি লিড সিংগার। উত্তর বাংলায় একটা শো করতে যেয়ে তারা পাবলিক এর হাতে উত্তম-মাধ্যম খায়। আবারও শুরু হয় তাদের জীবনের একঘেয়েমি। অসীম একটা আইডিয়া দেয়। শেখরকে বলা হয় তোর বাবার কাছে থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে আই। শেখর ঘাড়তেড়ামির জন্য অনেক আগেই ঘর ছেড়েছে। সে যেতে রাজি হয় না। পরে অসীম-ই টাকার জোগাড় করে, শুরু করে “ঘরোয়া ট্রাভেলস” নামে একটা ট্রাভেল এজেন্সি। মাত্র ন’জন যাত্রী নিজে শুরু হয় তাদের “কালিম্পং” যাত্রা। পথে পাহাড়ের রাস্তা থেকে রিয়া নামে একটা মেয়ে তাদের যাত্রা সঙ্গী হয়। ১০জন প্যাসেঞ্জার ১০ রকম দর্শন নিয়ে চলে আর সেই সাথে ওরা চার জন তো আছেই। ফ্ল্যাশ, ফরওয়ার্ড পাশাপাশি রেখে সুন্দর ভাবে চিত্রায়িত হয় ছবিটা। ছবি শেষ হয় ভিন্ন এক সাধে। মানুষের একধারা থেকে বেরিয়ে ভিন্ন কিছু বেছে নিয়ে বেঁচে থাকা। যে অসীম ট্রাভেল ব্যবসার টাকা নিয়ে মানবিকতার কিছুটা বিচ্যুতি হয়েছিল। কিন্তু সেই অসীম-ই নিজের জীবনকে বিলিয়ে দিল একটা আশ্রমে। এমন বিভিন্ন ছোট ছোট ঘটনা দিয়ে পরিচালক সুনিপুণ ভাবে দেখিয়েছেন মানুষের ন্যাচার। মানুষে মানুষে ভিন্নতা।
ছবিটা নিজের জীবনের সাথে মিলে গেল প্রায় শতভাগ। আমারও চার জন বন্ধু আছি। আমাদের কারোর সাথে কারোর ধারা মেলে না। সব থেকে ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হল, আমার চার জন কোন কাজই ঠিক মত করে উঠে পারি না। খুব বেশি হলে তিনজন একমত হয়, আর একজনের থাকে বক্রতা। সেই বক্রতা নির্দিষ্ট একজনের না। এক এক সময় এক একজন সেই ভূমিকা পালন করে।
ছবিতে পরিচিত মুখগুলাঃ- শাশ্বত, রুদ্র, ঋত্বিক, পরম্ব্রত, চুর্নি গাঙ্গলী, কৌশিক গাঙ্গলী, অরিন্দাম সিল, অপরাজিতা ঘোষ, নীল মুখার্জি, বিদিপ্তা চক্রবর্তী, কণিকা ব্যানার্জি সহ আরও অনেকে। ও বিনা নোটিশে এক পলক অঞ্জন দাত্তকে দেখা যায়।
ছবির মিউজিক করেছেন নীল দত্ত। অঞ্জন দত্তের ছবিতে সচারাচার ওর ছেলে নীল দাত্ত’ই মিউজিক করে। গান গেয়েছেনঃ- অঞ্জন দত্ত, শ্রীকান্ত আচার্য, শারান্যা দত্ত, রূপম ইসলাম, নচিকেতা, আয়ান্তিকা রায়, রুপাঙ্কার, উজানি।
ডিরেক্টরঃ- অঞ্জন দত্ত
স্ক্রীনপ্লেঃ- অঞ্জন দত্ত
স্টোরিঃ অঞ্জন দত্ত
সিনেমাটোগ্রাফিঃ ইন্দ্রনীল মুখোপাধ্যায়
এডিটরঃ মৌনাক ভৌমিক
লিরিকঃ অঞ্জন দত্ত