নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার ছুটি নেওয়ার সঙ্গে ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা জানান।
তিনি বলেন, বিচার বিভাগ স্বাধীন হওয়ার পর প্রধান বিচারপতি নিজের ছুটি নিজে নেন। এটা কারো কাছ থেকে অ্যাপ্রুভ করার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু যেহেতু তিনি ছুটিতে যাবেন, ছুটিতে থাকাকালীন আরেকজন প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করবেন। সে কারণে তিনি মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে তার ছুটির ব্যাপারে অবগত করেন।
“রাষ্ট্রপতির কাছে যে পত্র দেয়া হয় সেটি আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রসেসজড হয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতর হয়ে রাষ্ট্রপতির দফতরে যায়। সেক্ষেত্রে তিনি আমাদের অবহিত করেছেন। ষোড়শ সংশোধনীর সঙ্গে এটার কোনো সম্পর্ক নেই।”
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৭ অনুচ্ছেদে বলা আছে প্রধান বিচারপতি যখন অসুস্থতা বা অন্য কারণে তার কাজ করতে অসমর্থ হন তখন প্রবীণতম বিচারপতি প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব অস্থায়ীভাবে পালন করেন। সেই ক্ষেত্রে বিচারপতি আব্দুল ওয়াহহাব মিঞা হচ্ছেন প্রবীণতম বিচারপতি।
আইনমন্ত্রী বলেন, ছুটির কারণ হিসেবে তিনি (প্রধান বিচারপতি) লিখেছেন ক্যান্সার ও নানাবিধ রোগে আক্রান্ত ছিলেন। সেগুলো সম্পূর্ণ সারেনি। উনি বলেছেন উনার বিশ্রামের প্রয়োজন। সে জন্যই ছুটি নিচ্ছেন।
প্রধান বিচারপতির ছুটি নিয়ে বিএনপি নেতাদের প্রতিক্রিয়ার সমালোচনা করে আইনমন্ত্রী বলেন, উনাদের এই বক্তব্য ভিত্তিহীন। এটার কোনো প্রমাণ নেই। ইউজলেস কথাবার্তার জবাব দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
তিনি বলেন, ওনারা বলে দিলেন এটা নজিরবিহীন, মানুষ অসুস্থও হতে পারবে না? এর আগে যেহেতু কেউ হয়নি এখনও হতে পারবে না। এ রকম কথা যদি ওনারা বলে থাকেন, ওনাদের অবাস্তব কথার জবাব দেওয়ার জন্য আমি এখানে বসিনি।
তিনি আরও বলেন, প্রধান বিচারপতিকে কেন্দ্র করে যারা স্পেক্যুলেশন বা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে তারাই অসৎ উদ্দেশ্যে হাসিলের চেষ্টা করছেন বলে আমার মনে হয়।এবং দেশে যে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে তারা তা রোধ করতে চেয়েছেন।