দিনব্যাপী যথাযথ শ্রদ্ধা আর ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩ তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০১৮ পালন করেছে।
বুধবার সকালে জাপানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্য দিয়ে শোক দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
এসময় বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা ও আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
পরে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত উম্মুক্ত আলোচনা পর্বে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও কর্মময় জীবন নিয়ে আলোচনা করেন রাষ্ট্রদূত । তিনি জাতির পিতার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সোনার বাংলা গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। জাপান প্রবাসী বাংলাদেশীরাও এই আলোচনায় অংশ নেন। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র –প্রতিমন্ত্রী দেওয়া বাণী পাঠ করা হয়।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে জাপানি ও বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে শোক দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে একটি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন রাষ্ট্রদূত, আলোচনায় অংশ নেন জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের, সাউথ–ওয়েস্ট এশিয়া বিভাগের পরিচালক শোগো ইয়োশিতাকে এবং জাপান প্রবাসী বাংলাদেশী প্রতিনিধিরা।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলেন বাঙ্গালী জাতির মুক্তির স্বপ্নদ্রষ্টা – স্বাধীনতার রূপকার, অবিসংবাদিত অকুতোভয় নেতা, যার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে সমগ্র জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিল। তিনিই যুদ্ধ পরবর্তী বাংলাদেশ নির্মাণে আসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছিলেন, দ্রুততম সময়ে জাপানসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের স্বীকৃতি আদায় ও তাঁদের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন । রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, আজ বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তাঁর স্বপ্ন ও নির্দেশনা আমাদের পথ চলার অনুপ্রেরণা হিসাবে কাজ করছে। তাঁর দেখানো পথ ধরেই তাঁর সুযোগ্য কণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির পথে এগিয়ে চলেছেন।
শোগো ইয়োশিতাকে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতির শ্রদ্ধা জানান এবং জাপান – বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর আলোকপাত করেন।
দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা – কর্মচারীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা, পরে উপস্থিত জাপানী নাগরিক ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা পুস্পারঘ অর্পণ করেন। এছাড়া জাতির পিতার সংগ্রাম আর জীবন–কর্ম নিয়ে ভিডিও তথ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আব্দুল্লাহ আল মামুন/জাপান, টোকিও/ ১৫ আগস্ট, ২০১৮