Site icon দ্বিপ্রহর ডট কম

ভালো থেকো সকাল, ভোরের বাতাস, ভালো থেকো।

মনের যে দু’খানা ছোট ছোট পা আছে। তাতে অনেক দিন হলো ছ্যান্ডেল নেই। আমি ঘুম থেকে ওঠার আগেই ও উঠে পড়ে। জিজ্ঞেস করলে বলে, ভোরের অভিশপ্ত কাকের ডাক শুনতে শুনতে শিশির ভেজা ঘাসে পা টেনে টেনে হাটি। সারাদিনের উত্তপ্ত চোখের কথা শুনতে হবে। না শুনেও থাকতে হবে। হাঁসিয়ে দিয়েই বলে; উত্তপ্ততাই জেনো মন পুড়ে পুড়া মাটি না হয়ে যায়। তাই শিশিরে হাটি। আমার মত আমার মন অত গোমড়া হয়ে থাকে না, থেমে থাকে না। যাই কিছু হোক, ঠিকই খালি পায়ে হেঁটে চলে। তোমার দেখান পথ যতই মসৃণ হোক বা ওমসৃণ হোক ঠিকই হেঁটে হেঁটে শিশুর মত এগিয়ে চলে। শিখতে শিখতে এগিয়ে চলে।

বেশ কিছুদিন হলো আমিও কাক ডাকা ভোরে উঠি। খালি পায়ে শিশির ভেজা ঘাসে হাটি। পুড়া মাটির শরীর একটু একটু করে শীতল হয়। তোমার মুখটাও সমস্ত সহজতা নিয়ে শান্ত সরলতায় ভেসে আসে বাতাসে। কানের পাশে গুজে রাখা চুল গুলো খুলে পড়ে তোমার বা গালে। যদিও তুমি চুল গুছিয়ে বেধে রাখো খুব কম। সব সময়ই দেখি তোমার চুল গুলো তোমার বা’ গাল নাহয় ডান গাল বেয়ে থাকে। আবছায়া ভোরে শান্ত মুখের চুল গুলো বাতাসে খেলা করে। আমি বিহ্বল হয়ে দেখি। চোখে বিন্দু বিন্দু নোনতা ঘাম জমা হয়। নিয়ম মানার বাধ্যতায় আলো ফোটে।

চোখে জমা ঘাম লুকিয়ে ফিরে আসি। চোখে ঘাম জমা দেখলে তুমি খুব রাগ করো। তুমি বলো তোমার বুকের মধ্যে নাকি নোনতা জলের সাগর আছে। আর আমার চোখে জমা ওই বিন্দু নোনতা ঘাম নাকি ও বুক সাগরেরই জল। আমি নাকি তোমার বুক শুষে নিচ্ছি। মুখে খুব নিষ্ঠুরতা ধরে কথা গুলো বলো তুমি।

অথচ, ও বুক যে পাড়াই ঘর বেধেছে আমি হাজারবার আপ্লাই করেও অনুমতি পাইনি যাওয়ার। অনুমতি পেয়েছি শুধু দরজা পর্যন্ত যাওয়ার। দৈনন্দিন জীবনের বাজারের ব্যাগ যেমন টানা হয়। দরোজায় প্রহরী নেই। তবুও আমি দরজা পেরুতে পারিনি। জল সমুদ্রে ভেসে যেতে পারিনি।



এনামুল খান
২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ইং

Exit mobile version