আব্দুল্লাহ আল মামুন, টোকিও থেকে: জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন দর্শন ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে ধাবমান। এ উন্নয়ন আজ বিশ্ব স্বীকৃত
দেশের উন্নয়নের বর্তমান অবস্থান সমগ্র জাতি ও বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে দেশব্যাপী এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহে “উন্নয়ন মেলা-২০১৮” আয়োজন করা হচ্ছে।
পুরো দেশের সাথে একাত্ম হয়ে টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাস আজ শুক্রবার উন্নয়ন মেলার আয়োজন করে। দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এই মেলার উদ্বোধন করেন জাপানে রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। মেলায় জাপান প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন। ‘৪র্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলা’ শীর্ষক এই আয়োজনে বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরা হয়।
উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে স্বাগত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের উন্নয়নের ক্রমধারা বিশ্লেষণ করেন এবং বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নদর্শন ও উন্নয়ন কৌশল আজো আমাদের কাছে জাজ্বল্যমান এবং তাঁর নীতি, আদর্শ ও কর্ম – পদ্ধতি অবলম্বন করে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর মেধা ও গতিশীল নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে উন্নত – আধুনিক রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠায় কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সাফল্য আজ বিশ্ব স্বীকৃত আর এর ফলশ্রুতিস্বরূপ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভূষিত হয়েছেন মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলস (এমডিজিএস) পুরস্কার, অ্যাচিভমেন্ট ইন ফাইটিং পোভার্টি, প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন এবং অ্যাজেন্ট অব চেঞ্জ ইত্যাদি আন্তর্জাতিক পুরস্কারে। এ বছর তিনি পেয়েছেন গ্লোবাল ওইমেনস লিডারশিপ এবং ডিস্টিন্কশন অ্যাওয়ার্ড ফর লিডারশীপ।
বাংলাদেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নে জাপানের অবদান অনস্বীকার্য। এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, জাপান বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী এবং এশিয়ায় সর্ববৃহৎ রপ্তানী বাজার। বাংলাদেশে চলমান বেশিরভাগ বৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্প জাপানি অর্থায়ন ও সহযোগিতার মাধ্যমে হচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত দুদেশের সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রসারে প্রবাসীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। তিনি জাপান প্রবাসী নাগরিকদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্দীপ্ত হয়ে দেশের উন্নয়নে অধিকতর অবদান রাখার আহ্বান জানান। ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দশটি বিশেষ উদ্যোগ ও টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে রাষ্ট্রদূত প্রবাসী সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়নের উপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন ও বিশ্লেষণধর্মী উপস্থাপনা করা হয়। এছাড়া দেশের বিভিন্ন খাত ভিত্তিক উন্নয়ন তুলে ধরা হয়। পরে বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের ভূমিকা নিয়ে উম্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। প্রাণবন্ত ও গঠনমূলক এ আলোচনায় প্রবাসী নাগরিকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। দেশের উন্নয়ন নিয়ে আয়োজিত মেলা ও আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে পেরে প্রবাসীগণ তাঁদের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানান। এসময় তাঁরা দেশের উন্নয়নে যেকোন ত্যাগ স্বীকারে ও এই পক্রিয়ায় সক্রিয় অংশগ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন।
মেলায় দেশের উন্নয়ন তথ্য সম্বলিত বিভিন্ন পুস্তিকা, তথ্য কণিকা ও প্রচার সামগ্রী অতিথিদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
এ জাতীয় আরো খবর..