Site icon দ্বিপ্রহর ডট কম

৩০% কোটা আন্দোলন এর রাজনৈতিক গুরুত্ব

৩০% কোটা নিয়ে বেশি ভাবতে ইচ্ছে করছিলো না। কারণ এই গায়েবি আন্দোলন নিয়ে বেশি ভাবা উচিৎ না। কিন্তু আমি বুঝতে পারছিলাম না। এই ৩০% কোটার রাজনৈতিক গুরুত্ব কি? অন্য সব রাজনৈতিক ব্যাপার যে বুঝে ফেলি তেমন নয়। যাহোক, আমাদের তো মেরে বালি চাপা দেওয়ার স্বভাব নেই। তাহলে তো অন্তত একটা দু’টা ঘটনা দিয়েই শেষ হতো ঘটনা গুলো। আমরা আঙুলে ব্যাথা হলে কব্জি থেকে কাটি, কুনইতে ব্যাথা হলে হাত কাটি আর মাথা ব্যাথা হলে গলা থেকে কাটি। ধড়, ধড়ফড় করে বেড়াই। একদম সিম্পল ব্যাপার। পিম্পল হইছে টিপে দেওয়ার মত। ক্ষত যে বাড়বে তাতে কোন ভ্রূক্ষেপ নেই। থাকার দরকারও নেই। কারণ ক্ষমতা যে আমার আছে তার জাহির করতে হবে না।

ক্ষমতায় আম্রিকা শ্রেষ্ঠ, তো সেটার প্রমাণ করতেই না আইএস এর দরকার। যাহোক, কোটার কাটা গলায় বিধে আছে সেটার কথাই বলার চেষ্টা করি। নির্বচনের দিনক্ষন তো হইয়ে গেছে। সমাধান হয়নি এখনো কীভাবে কি হবে। প্রধান বিরোধী দলের মরি বাঁচি অংশ গ্রহণটাও নিশ্চিত না। ওরা অবশ্য ধেড়ে গাধা। এখন ওরা আন্দোলন করবে। মানে একটা ইস্যু দাঁড়াবে দেশে। অস্থিতিশীল হবে দেশ। কিন্তু কোটার কাটা বিধে দেওয়া হলো গলায়। একদিক থেকে ভালোই হইছে কারণ দেশ অস্থিতিশীল হোক আমরা কেউই চাইনা। আবার এটাও চাই তথাকথিত গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক উপায়েই বেঁচে থাকা। কারোর হাতে যেন কুক্ষিগত না হয়ে থাকে।

এখন আসি সাধারণ কথা বাত্রায়। এই কোটা আন্দোলন আসলো কোত্থেকে? এই প্রশ্নটা এখানে একবারেই রিলেভেন্ট যে; এই তোমরা
৩০% কোটা আন্দোলন করছো। এই আন্দোলন তোমাদের কে দিছে? এখন কে দিছে সেটা তো আমরা সবাই জানি। দেওয়ার কথা বলছি কারণ আমরা দাবি করেছিলাম সংস্কারের। কিন্তু ওনারা করলেন কি? প্রথন ও দ্বিতীয় শ্রেণীর কোটা বাতিলই করে দিলেন। এতে করে বলা হলো বা বলানো হলো মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করা হলো। কেন বাতিলই করা হলো? কারণ এই নির্বচন মুহূর্তে নির্বচনীয় সাধারণ ব্যাপারটা গুলো চাপা দেওয়ার জন্যই এই আন্দোলনের ইস্যু রেখে দেওয়া।

না গণতন্ত্র চাপা দেওয়ার হচ্ছে না। প্লেটে খাবার দিয়ে মুখে চপে ধরে রাখা হইছে আরকি।

এদিকে রোহিঙ্গা সেন্ট মার্টিন মানচিত্র মায়ানমার ঘেঁটে ঘ হয়ে আছে। আবার এখানেও বলা হচ্ছে ইচ্ছে করেই নাকি ইস্যুর শিশু জন্ম দেওয়া। ইচ্ছে করেই নাকি মানচিত্রের ক্যাচাল সৃষ্টি করা। হইতেই পারে না, বলছি না। কারণ ইস্যুর শিশু জন্মাতে ৯ মাস না ৯ দিনও লাগে না। কেক্কাপার নুডুলস এর মত। কখন কার সাথে প্যাচাই যাবে কেউ জানে না।

আর কি কি সব ইস্যু এখন ট্রেন্ডিং আছে আমি জানি না। উপরের যে প্রধান দুইটা ইস্যু বললাম এটা এখন ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপের মত রান হচ্ছে দেশ ফোনে আর সামনে স্ক্রিনে দেখানো হচ্ছে ৩০% কোটা। প্রথমেই বলেছিলাম গায়েবি আন্দোলন। ৩০% কোটার মোট মুক্তিযোদ্ধার বেকার সন্তানদের মানে যারা আছেন বেকার তার ১%ও উপস্থিত নেই আন্দোলনে। দেখুন ছবি সহ টাইটেলে প্রচুর পত্রিকা টিভি(বাতাবীলেবু ওরফে বিটিভি) এবং ইন্টেলেকচুয়াল ফেইচবুকে পাবেন প্রমাণ। মানে কেন গায়েবি বলা হচ্ছে।

প্রত্যাশিত ভাবে পুলিশের সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে। এই ১% শিশুদের সার্বিক ভাবে সাহায্য করে যাচ্ছে পুলিশ ভাই বন্ধুরা। ট্রায়ারের প্রজ্বলিত আগুন থেকে খোকা(পুলিশ) বিড়ি জ্বালিয়ে পান করছে।

কে জানি বলছিলো নতুন সংগঠিত ছাত্রলীগের প্রথম ভুল সিদ্ধান্ত ৩০% শিশু কোটা আন্দোলনের সাথে থাকা।

শুধু একটা জিনিষই বারংবার মনে হচ্ছে পিতা তখনোই সব থেকে বেশি গর্বিত হয় যখন তার সন্তান ভালো কিছু করে। বঙ্গবন্ধু, নিশ্চিত ভাবেই বলতে পারি উনি গর্বিত হওয়ার মত কোন অবস্থাতেই নেই। এদিকে মুক্তিযোদ্ধা যারা আছেন। তারাও কোন ভাবে গর্ববোধ এর জায়গায় নেই। হয়তো সন্তানদের এই কর্ম কাণ্ডে লজ্জিত হচ্ছেন। হইতো বাইরে বেরুতে পারছেন না। যেমন লজ্জায় মুখ দেখাতে পারে না জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু!

Exit mobile version