হেমন্তকে বরণ করে নিতে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী নবান্ন উৎসব পালন করা হয় সূর্যোদয়ের দেশ জাপানে।
রোববার বিকেলে রাজধানী টোকিওর পার্শ্ববর্তী শহর সাইতামাতে গ্রেটার খুলনা কমিউনিটির উদ্যোগে প্রথমবারের মতো জাপানে নাবন্ন উৎসব আয়োজন করা হয়।
সংগঠনের মহিলা সদস্যদের সহযোগিতায় নানা রকম সুস্বাদু দেশিয় খাবার এবং পিঠা পরিবেশনের পাশাপাশি নাচে-গানে মাতিয়ে তোলে উৎসবটি। এছাড়াও পরিবেশন করা হয় একাধিক খুলনার ভাষায় আঞ্চলিক গান।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দূতাবাসের ইকোনমিক মিনিস্টার ড. শাহিদা আক্তার, কমার্শিয়াল কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসাইন আরিফ, লেবার কাউন্সিলর জাকির হোসেন। প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক অথিতি উপভোগ করেন এই আয়োজন। অনুষ্ঠান সমন্বয়ক গোলাম মাসুম জিকো, তফসির আহমেদ তুহিন, জেসমিন সুলতানা কাকলি, এমডি মোস্তাফিজুর রহমান জনি এর সমন্বয়ে ১৬ জনের স্বেচ্ছাসেবক দল, উপদেষ্টা সহ জিকেসিজে এর সদস্যরা অনুষ্ঠান আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করেন।
গ্রেটার খুলনার জাপান প্রবাসী বিভিন্ন শিল্পীরা নাচ, গান, কবিতা, ইত্যাদি পরিবেশন করেন। মনোজ্ঞ এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্ভোধন করা হয় আবহমান বাংলার নাবন্ন সকালের চিত্র নিয়ে কাকলি ও বহ্নি নির্দেশিত নৃত্যনাট্য দিয়ে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে সহযোগিতা করে জাপানের সুপরিচিত দুটি সাংস্কৃতিক দল স্বরলিপি কালচারাল একাডেমী ও উত্তরণ কালচারাল গ্রুপ।
অনুষ্ঠানের উপদেষ্টা মুনশি কে আজাদ, নাজনিন রহমান, কাজী মাহফুজুল হক লাল, গুল মোহাম্মদ মনি ঠাকুর, জাকির জোয়ারদার, মাসুদুর রহমান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন বহ্নি আহমেদ, গোলাম মাসুম জিকো, কাউসার হাসান লাইজু, শিলা আফরোজ, ববিতা পোদ্দার এবং তনুশ্রী গোলাদার বিশ্বাস।