1. mdabirhossain.6894@gmail.com : Abir Hossain : Abir Hossain
  2. info@diprohor.com : admin :
  3. bappi.kusht@gmail.com : Bappi Hossain : Bappi Hossain
  4. biplob.ice@gmail.com : Md Biplob Hossain : Md Biplob Hossain
  5. mahedi988.bd@gmail.com : Mahedi Hasan : Mahedi Hasan
  6. mamunjp007@gmail.com : mamunjp007 :
  7. media.mrp24@gmail.com : এস এইচ এম মামুন : এস এইচ এম মামুন
  8. rakib.jnu.s6@gmail.com : Rakibul Islam : Rakibul Islam
  9. mdraselali95@gmail.com : Rasel Ali : Rasel Ali
  10. rockyrisul@gmail.com : Rocky Risul : Rocky Risul
  11. rouf4711@gmail.com : আব্দুর রউফ : আব্দুর রউফ
  12. sohan.acct@gmail.com : Sohanur Rahman : Sohanur Rahman
সাত বছরে সাগর-রুনি হত্যার যতটুকু রহস্য উদঘাটিত | দ্বিপ্রহর ডট কম
বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০২ পূর্বাহ্ন

সাত বছরে সাগর-রুনি হত্যার যতটুকু রহস্য উদঘাটিত

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম: সোমবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯
  • ৫৮২ বার পঠিত

আজ (১১ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার সাত বছর পূর্ণ হলো। ২০১২ সালের এই দিনে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় খুন হন তারা। এই সাত বছরেও মামলাটির তদন্ত শেষে করতে পারেনি তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাব।

আদালতের নির্দেশে দুই বছর আগে (২০১৭ সালের ৩ মার্চ) মামলার তদন্তের অগ্রগতির বিষয় একটি প্রতিবেদন জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন আহম্মদ। এরপর আর কোনো অগ্রগতির প্রতিবেদনও দেয়া হয়নি। বর্তমানে র‌্যাবের আরেক সহকারী পুলিশ সুপার মামলাটি তদন্ত করছেন।

সর্বশেষ অগ্রগতি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মামলার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী সাগর-রুনির একমাত্র ছেলে মাহির সরোয়ার মেঘকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার জবানবন্দি (১৬১ ধারায়) নেয়া হয়েছে। তদন্তকালে বনানী থানার একটি হত্যা মামলায় সন্দিগ্ধ আসামি বকুল মিয়া, খায়রুল হাছান, রফিকুল ইসলাম, মিন্টু ও আবু সাঈদকে এই মামলায় (সাগর-রুনি হত্যা মামলা) জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার দেখিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ ছাড়া সন্দিগ্ধ আসামি তানভীর আহাম্মদ, পলাশ রুদ্র পাল ও এনাম আহম্মেদকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত অব্যাহত আছে।

গতানুগতিক তদন্তের বাইরে গিয়ে অত্যাধুনিক তদন্ত পদ্ধতি ও বৈজ্ঞানিক তথ্য-প্রমাণ প্রাপ্তির লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুইটি অত্যাধুনিক ল্যাবকে এ তদন্তের সাথে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। বেশ কিছু আলামত ডিএনএ পরীক্ষার জন্য সেখানে পাঠানো হয়েছে। ল্যাব দুটি হতে প্রাপ্ত ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন বিস্তারিত পর্যালোচনা করে তদন্ত করা হচ্ছে।

ঘটনাস্থল থেকে চুরি যাওয়া ল্যাপটপ বর্তমানে ব্যবহার হচ্ছে কি না এ ব্যাপারে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যানের বরাবর পত্র দেয়া হয়েছে। বর্তমানে ল্যাপটপ ব্যবহৃত হচ্ছে কি না এ ব্যাপারে পত্রালাপ অব্যাহত আছে। এ সংক্রান্ত অনুসন্ধান অব্যাহত আছে। চুরি যাওয়া ল্যাপটপ কখনও ব্যবহার করা হলে তার তথ্য পাওয়া যেতে পারে।

সাগর-রুনি মিডিয়া কর্মী হওয়ায় তদন্তকালে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া সাংবাদিকদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। তদন্তকালে গ্রেফতারকৃত আট সন্দিগ্ধ আসামিকে ইতিপূর্বে পুলিশ রিমান্ডে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো আলামতের ডিএনএ পরীক্ষার মতামতে, ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে দুইজন অজ্ঞাত পুরুষ ব্যাক্তির ডিএনএ পাওয়া যায় মর্মে উল্লেখ আছে। দুইজন অজ্ঞাত আসামিকে শনাক্তকরণের জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।ঘটনাস্থলের আশপাশ এলাকার থানাসমূহের মধ্যে শেরেবাংলা নগর, তেজগাঁও, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, কলাবাগান থানাসহ বিভিন্ন থানার চুরি, সিঁধেল চুরি, দস্যুতাসহ বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার আসামিদের বিষয়ে অধিকতর তদন্ত করে এই মামলায় সংশ্লিষ্টতা আছে কি না তা যাচাইয়ের প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। বিশ্বস্ত গুপ্তচরের মাধ্যমে গোপন ও প্রকাশ্যে অনুসন্ধান করে মামলার প্রকৃত আসামিদের চিহ্নিতপূর্বক গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। ঘটনাস্থল হতে চুরি যাওয়া ল্যাপটপ এবং মোবাইল ফোন বর্তমানে ব্যবহার হচ্ছে কি না, এই সংক্রান্তে বিটিআরসি এবং মোবাইল অপারেটরদের সংশ্লিষ্ট বিভাগে যোগাযোগ অব্যাহত আছে। ফলে কখনও ব্যবহৃত হলে তথ্য পাওয়া যেতে পারে।

এদিকে হত্যাকাণ্ডের পর সাত বছরেও মামলাটির কোনো কূল-কিনারা না হওয়ায় হতাশায় ভুগছে তাদের পরিবার। পরিবারের প্রশ্ন, হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে আর কত সময় লাগবে? বিচার পাওয়ার আশায় আর কতদিন পথ চেয়ে থাকতে হবে। আমাদের পরিবার কি এ হত্যাকাণ্ডের বিচার আদৌ পাবে? মামলার বাদী রুনির ভাই নওশের আলম রোমান বলেন, মামলাটির তদন্তের কোনো অগ্রগতিই নেই। তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার অগ্রগতির বিষয়ে কোনো কিছুই জানান না। মামলার বিচার নিয়ে আমাদের পরিবার হতাশ।

মামলা তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেন, সাগর-রুনি হত্যা মামলাটির অত্যন্ত স্পর্শকাতর। মামলাটির তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। আলোচিত এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়ার জন্য চলতি মাসের (ফেব্রুয়ারি) ১৭ তারিখ দিন ধার্য রয়েছে।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সারোয়ার ওরফে সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন নাহার রুনা ওরফে মেহেরুন রুনি দম্পতি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় খুন হন। খুন হওয়ার পর রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)। চারদিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে ডিবি রহস্য উদ্ঘাটনে ব্যর্থ হয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র‌্যার বের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৬২টি ধার্য তারিখ পার হয়েছে।

মামলায় আটজনকে বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে মিন্টু, কামরুল হাসান, বকুল মিয়া, রফিকুল ইসলাম আবু সাঈদ ও এনাম আহম্মেদ কারাগারে রয়েছে। পলাশ রুদ্র পাল ও তানভীর রহমান হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত দ্বিপ্রহর ডট কম-২০১৭-২০২০
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazardiprohor11