উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়নে এবার রাজশাহীতে চমক এসেছে। নয়টি উপজেলার মধ্যে একজন বর্তমান চেয়ারম্যান দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। আর নতুন মুখ এসেছে পাঁচটিতে। বাকি তিনটি উপজেলায় যারা মনোনয়ন পেয়েছেন তারা গত উপজেলা নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন।
রাজশাহীতে নৌকার টিকিট পেয়েছেন পবায় জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মুনসুর রহমান, তানোরে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লুৎফর হায়দার রশীদ ময়না, পুঠিয়ায় সাবেক ছাত্রনেতা জিএম হিরা বাচ্চু, দুর্গাপুরে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, বাঘায় জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লায়েব উদ্দীন লাভলু, গোদাগাড়ীতে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, চারঘাটে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফকরুল ইসলাম, মোহনপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সালাম এবং বাগমারায় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অনিল কুমার সরকার।
এদের মধ্যে মুনসুর রহমান, আব্দুস সালাম, নজরুল ইসলাম ও ফকরুল ইসলাম গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী ছিলেন। তবে শুধু নজরুল ইসলাম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বাকিরা পরাজিত হয়েছিলেন বিএনপির প্রার্থীর কাছে।
এবার মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন বাগমারার বর্তমান চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম সান্টু। গতবার দলীয় মনোনয়ন পেলেও এবার ছিটকে পড়েছেন গোদাগাড়ী উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আসাদুজ্জামান আসাদ ও পুঠিয়ার শাহরিয়ার আলম কনক।
আর নতুন মুখ হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন বাগমারার অনিল কুমার সরকার, বাঘার লায়েব উদ্দিন লাভলু, তানোরের লুৎফর হায়দার রশীদ ময়না, গোদাগাড়ীর জাহাঙ্গীর আলম ও পুঠিয়ায় জিএম হিরা বাচ্চু।
আওয়ামী লীগ রাজশাহীর সবগুলো উপজেলার জন্য প্রার্থীদের মনোনয়ন দিলেও পবা উপজেলায় নির্বাচন আপাতত হচ্ছে না। কয়েকদিন আগেই হাইকোর্টের এক রায়ে এখানে নির্বাচন পিছিয়ে গেছে একবছর। আগামী ১০ মার্চ পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে রাজশাহীর আট উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে।