চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশের আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে গ্রেফতার তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়ছেন আদালত।
পুলিশ বলছে, কিছু বিষয় মিতু স্বীকার করলেও অধিকতর তদন্তের জন্য আবারও রিমান্ড চাওয়া হবে।
শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তিন দিনের রিমান্ড শেষে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আবু সালেম মোহাম্মদ নোমানের আদালতে হাজির করা হয় মিতুকে। এ সময় আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার জাগো নিউজকে বলেন, ‘রিমান্ডে মিতু কিছু বিষয় স্বীকার করেছেন। আবার কিছু বিষয় এড়িয়ে গেছেন। এরমধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে। রিমান্ড শেষে তিন দিনের একটি প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। তদন্তের প্রয়োজনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবারও রিমান্ডে নেয়া হতে পারে বলে জানান তিনি।’
সূত্র জানায়, রিমান্ডের প্রথম দুইদিন মিতু তেমন কোনো তথ্য দেয়নি। তবে তৃতীয় দিন বেশ কিছু বিষয় স্বীকার করেছেন। এরমধ্যে একাধিক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে বিষয়টি রয়েছে।
এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি রাতে ১২টার দিকে নগরীর নন্দন কানন এলাকায় খালাত ভাইয়ের বাসা থেকে পুলিশ মিতুকে গ্রেফতার করে। পরে বিকেলে চান্দগাঁও থানায় মৃত আকাশের মা জোবেদা খানম বাদী হয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে তানজিলা হক চৌধুরী মিতু, তার বাবা-মা, এক বোন ও দুই প্রেমিকের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
আকাশ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার বাংলাবাজার বরকল এলাকার মৃত আব্দুস সবুরের ছেলে। তিনি এমবিবিএস শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। সঙ্গে এফসিপিএস পড়ছিলেন।
গত ৩১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ভোরে নগরীর চান্দগাঁও থানা এলাকায় নিজ বাসায় শরীরে বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করে আত্মহত্যা করেন। এর আগে ফেসবুকে দুটি স্ট্যাটাসে তিনি মৃত্যুর জন্য স্ত্রী মিতুকে দায়ী এবং বিস্তারিত ঘটনার আবেগঘন বর্ণনা দেন।