টোকিওতে অনুষ্ঠিত হওয়া ‘ফ্যাশন ওয়ার্ল্ড টোকিও – ২০১৯’ এ অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ।
বুধবার (২৭ মার্চ) টোকিওতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সার্বিক তত্ত্বাবধান এবং বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরো সহযোগিতায় এ মেলায় বাংলাদেশী উদ্যোক্তারা অংশগ্রহণ করেছেন।
সকালে মেলার বাংলাদেশী প্যাভিলিয়নের স্টলগুলো পরিদর্শন করেন এবং ব্যবসায়ীদের সাথে কুশল বিনিময় করেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
বাংলাদেশের ১৩ টি তৈরী পোশাক ও চামড়া শিল্প প্রতিষ্ঠান তাঁদের উন্নতমান সম্পন্ন, আধুনিক ও রুচিসম্মত দ্রব্যাদির প্রদর্শন করছেন। মেলাটি দু’দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগের ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থাপনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করেছেন অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণধাররা। মেলা চলবে আগামী ২৯ মার্চ পর্যন্ত।
বাংলাদেশ দূতাবাস, জাপান; বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়; এবং রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরোর উদ্যোগে মেলার সেমিনার ভেন্যুতে ‘জাপানের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক খাতের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় যেখানে সহযোগিতা করে জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেট্রো), ইউনাইটেড ন্যাশন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইউনিডো), জাপান ও টোকিও চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি, জাপান-বাংলাদেশ কমিটি ফর কমার্শিয়াল এন্ড ইকনোমিক কো-অপারেশন এবং জাপান টেক্সটাইল ইম্পোরটারস অ্যাসোসিয়েশন। প্রায় ১৩০ জন জাপানী ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান সেমিনারে যোগদান করেন।
সেমিনারে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা স্বাগত বক্তব্য দেন । মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান সমূহকে রাষ্ট্রদূত ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন বাংলাদেশের তৈরী পোশাক বিশেষ করে নীটওয়্যার প্রতিষ্ঠানগুলো অত্যন্ত যত্ন সহকারে জাপানের জন্য পণ্য তৈরী করছে এবং নীটওয়্যার জাপানের এক নাম্বার রপ্তানী পণ্য হওয়ায় বাংলাদেশ গর্ববোধ করে। তিনি আরো জানান, ২০১৮ সালে জাপানে বাংলাদেশি পোশাক খাতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৩৪% যা জাপানের বাজারে সর্বোচ্চ এবং এশিয়ার মধ্যে জাপান আমাদের তৈরী পোশাক খাতের প্রথম রপ্তানী গন্তব্য। এই মেলা জাপানে বাংলাদেশী উন্নতমানের পণ্যসামগ্রীর বাজার সম্প্রসারনে এবং জাপান-বাংলাদেশ বাণিজ্য সম্পর্ক আরো গভীর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে রাষ্ট্রদূত দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা করেন জাপানের ইকনোমি, ট্রেড ও ইন্ডাস্ট্রি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পরিচালক ইয়াসুজিরো মিয়াকে, ইউনিডো’র শিল্প উন্নয়ন কর্মকর্তা ইকুয়ে তোশিনাগা, মারুহিসা কোম্পানির প্রেসিডেন্ট মাসাহিরো হিরাইশি এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষে বাণিজ্যিক কাউন্সেলর মোহাম্মদ হাসান আরিফ। আলোচকরা বাংলাদেশে বিনিয়োগের উপযুক্ত পরিবেশ, বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত সুযোগ সুবিধাসমূহ এবং জাপানে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের সম্ভাবনা বিশ্লেষণ করেন এবং বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশকে বেছে নেওয়ার আহ্বান জানান।
প্রশ্ন-উত্তর ও বিজনেস নেটওয়ার্কিং পর্বের মাধ্যমে সেমিনার সমাপ্ত হয়।
আব্দুল্লাহ আল মামুন/২৭ মার্চ, ২০১৯/টোকিও, জাপান/বিজ্ঞপ্তি