নিজস্ব প্রতিবেদক: ১০ দিনের টানা ছুটির দ্বিতীয় দিন রোববার জাপান প্রবাসী ঢাকাবাসী পরিবারের আয়োজনে ঘুড়ি উৎসবে সমবেত হয়েছিল শতাধিক প্রবাসী । চমৎকার রৌদ্রোজ্জল শীতের সকাল। সাইতামা জেলার ওমিয়া দাইসান পার্কে এই আয়োজনে শিশু কিশোরদের আনন্দের মাত্রা ছিল দেখার মতো।
জাপানে শনিবার থেকে নজিরবিহীন দশ দিনের নজিরবীহিন এ ছুটি শুরু হয়েছে। জাপানে এত দীর্ঘ সময় টানা কাজবিহীন থাকার কথা ভাবতে পারেন না সাধারণ মানুষ। তাই অনেকেই সরকারের ওপর বিরক্তি প্রকাশ করেছে।
মঙ্গলবার সম্রাট আকিহিতো বিদায় নেবেন এবং তার বড় ছেলে নারুহিতো (৫৯) সিংহাসনে বসবেন। পুরনো সম্রাটের বিদায় এবং নতুন সম্রাটের অভিষেক অনুষ্ঠান ছাড়াও জাপানীরা দেশটির ঐতিহ্যবাহী ‘গোল্ডেন উইক’ও এসময়ে উদযাপন করবে। দুটি উপলক্ষ্য মিলিয়ে টানা ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
পুরোনো ঢাকায় পৌষ সংক্রান্তিতে ঘুড়ি ওড়ানোর উৎসব পালন করা হয়। পৌষ সংক্রান্তি বা মকর সংক্রান্তি বাঙালিদেকর কাছে একটি বিশেষ উৎসবের দিন। পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় এই দিনকে ঘিরে উৎসবের আয়োজন করা হয়। পুরোনো ঢাকার সেই ঐতিহ্যকে ধারণ করে জাপান প্রবাসী টুলু, দেলওয়ার, তানি, জুলু, শাহু, লোপা ও পপসহ ঢাকাবাসী পরিবারের আয়োজনের জমজমাট উৎসবে সমবেত হয়েছিল প্রচুর সংখক প্রবাসী। সেদিন টোকিওতে আরো তিনটি অনুষ্ঠান থাকলেও সমাগমটিতে অনেকেই এসেছিলেন।
শুরুতে পুরোনো ঢাকা ও বনানী ট্র্যাজেডিতে নিহতদের স্মরণ করে এক মিনিটের নীরবতা পালন করা হয় ।
শ্রদ্ধেয় মুনশী আজাদ ঘুড়ি উৎসবের উদ্বোধন করেন। সঙ্গে ছিলেন, কমিউনিটির কাজী ইনসানুল হক, আশরাফুল ইসলাম শেলী, হোসাইন মুনির, খান মোহাম্মদ ইকবাল, গোলাম মাসুমসহ আরও অনেকে।
শিশুদের ক্যাটওয়ার্ক দিয়ে চমৎকার শহীদ মিনার তৈরীর পর্বটা ছিল চমৎকার। এরপর খাওয়া দাওয়া।
চিরায়ত ঢাকাইয়া ঐতিহ্য মতে কাঁঠাল পাতার দাওনায় তেহারী, গজা, বাখরখানি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। বিকেলে ছিল মুড়িমাখা।
শিশু-কিশোর ও বড়রাও ঘুড়ি উড়ানো ,আড্ডা ও হৈহল্লায় মেতে ওঠেন।
অনুষ্ঠানের মাঝে বাংলাদেশ থেকে আগত ‘বাজনা বিট’ ব্যান্ডের জাপানী জনপ্রিয় গায়িকা ও অভিনেত্রী মায়ে ওয়াতানাবে তার এক বাংলাপ্রেমী বান্ধবীকে নিয়ে আসেন এবং নাচ ও গান পরিবেশন করেন।
আগামীতে আরো বড় আয়োজনে জাপানে সকল ঢাকাবাসীদের নিয়ে আয়োজনের অভিপ্রায় রেখে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন প্রধান উদ্যোক্তা কামাল উদিদীন টূলু ও আকিকো দম্পতি।
অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন, গোলাম মাসুম জিকো।