একদিন পেরিয়ে গেছে, আরেকটি প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে টটেনহাম চলে গেছে চ্যাম্পিয়নসের ফাইনালে। তবু লিভারপুলের কাছে বার্সেলোনার আত্মসমর্পণ এখনো সবার মুখেমুখে। প্রথম লেগে ৩-০ ব্যবধানে জয়ের পরও চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে না উঠতে পারার ব্যর্থতা পোড়াচ্ছে কাতালানদের। এ ব্যর্থতার দায় অনেকের মাঝেই ভাগাভাগি করা হচ্ছে। কেউ কোচ আরনেস্তো ভালভার্দের দোষ দিচ্ছেন, কেউবা ক্লাবের ইতিহাসের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় ফিলিপে কুতিনহোকে। এভাবে দোষ কারও ঘাড়ে তুলে দেওয়াটা একদমই পছন্দ হচ্ছে না রোনালদোর।
বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা আছে রোনালদোর। ব্রাজিলিয়ান এই বিশ্বকাপজয়ী ফরোয়ার্ড ভালোভাবেই জানেন স্প্যানিশ জায়ান্টদের হয়ে খেলার চাপ কেমন। বার্সেলোনা বা রিয়ালের হয়ে খেলতে গেলেই সমালোচনা সহ্য করতেই হবে। তবু বার্সেলোনার নেতিবাচক ফল মানেই ভালভার্দের সমালোচনার বিষয়টি ঠিক মানতে পারছেন না ফেনোমেনন। টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউটে প্রথম লেগে ৩ গোলের অগ্রগামিতা হারিয়ে ছিটকে পড়েছে বার্সেলোনা। এবং এর দায় দেওয়া হচ্ছে কোচকে। গতবার রোমার বিপক্ষে হারের পর এবার লিভারপুলের কাছে ৪ গোলের বিপর্যয়। এবার অবশ্য শুধু ভালভার্দে নন, দায়টা কুতিনহোর গায়েও পড়ছে। রোনালদোর মতে হারার দায় শুধু একজনের নয়, পুরো দলেরই, ‘বার্সেলোনার একটি অসাধারণ দল আছে এবং ওদের মেসির মতো বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়ও আছে। সেদিন ওরা যখন হারল তার কারণ ভালভার্দে, কুতিনহো… কিন্তু কখনোই মেসি নয়। আবার ওরা যখন যেতে সেটা শুধুমাত্র মেসির জন্য। এটা দলের অন্য সব খেলোয়াড় ও কোচের জন্য অপমানদায়ক।’
স্পেনের সবচেয়ে বড় দুই দলে খেললেও রিয়ালের সঙ্গেই এখনো সম্পর্ক বজায় রেখেছেন রোনালদো। আর লা লিগার ক্লাব রিয়াল ভায়াদোলিদের মালিকানার সিংহভাগ কিনে নিয়ে এখন দুই দলেরই প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে গেছেন। তবে ক্লাব পরিচালনার কাজের ফাঁকেও ম্যাচ দেখায় কোনো কমতি নেই তাঁর। দর্শক হিসেবেই তাঁর মনে হচ্ছে লিভারপুলের জয় কোনো চমক নয়, ‘যখন একটি দল বেশি অনুপ্রাণিত থাকে, অন্য দলের চেয়ে বেশি তীব্রতা থাকে খেলার মাঝে, তখন প্রত্যাবর্তন হবেই। লিভারপুলের আক্রমণের তীব্রতা বার্সেলোনারও জানা ছিল, কিন্তু ওদের ভাগ্য ভালো ছিল না। প্রথম লেগে বার্সেলোনা ভালো খেলেছে, মেসি অসাধারণ করেছে। কিন্তু পরের লেগে খেলা, তীব্র আকাঙ্ক্ষা দিয়ে লিভারপুল ওদের হারিয়ে দিয়েছে।’