৯ দলের অধিনায়কদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন মাশরাফি মুর্তজা। বৃহস্পতিবার লন্ডনে হওয়া এই সংবাদ সম্মেলনে প্রতিটি অধিনায়কই যার যার দল নিয়ে কথা বললেন। মাশরাফিও বাকিদের মতো আশার বেলুনটা উড়িয়ে রাখলেন। সরাসরিই বললেন, এবারের আসরে যে কোনও দলকে হারিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা আছে বাংলাদেশের!
এমন আত্মবিশ্বাসী উক্তির পেছনে যথেষ্ট কারণও আছে। সদ্য ত্রিদেশীয় সিরিজে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তার দল। তাতে ভূমিকা ছিলো পুরো দলের। এছাড়া পুরো দলটিই দুর্দান্ত কিছু খেলোয়াড়ের সমন্বয়ে গঠিত। সেই কথাটিই এগিয়ে আনলেন মাশরাফি, ‘দলটিতে দুর্দান্ত কিছু ছেলে আছে যারা সত্যিকার অর্থে রোমাঞ্চকর ক্রিকেট খেলছে।’
অবশ্য মাশরাফি স্পষ্ট করেই বলে দিয়েছেন বিশ্বকাপে ভালো করতে হলে শুরুটা হতে হবে দারুণ, ‘ক্রিকেট এমনই একটি খেলা যেখানে আপনি যে কোনও দিন যে কাউকে হারাতে পারেন। আমরা সেক্ষেত্রে আশা করবো শুরুটা যেন ভালো কিছু হয়। এনিয়ে আত্মবিশ্বাসী, তবে সব কিছুই ভালো শুরুর ওপর নির্ভর করছে।’
সংবাদ সম্মেলনে অবশ্য আলাদা করে একটি প্রশ্ন রাখা হয়েছিলো অধিনায়কদের সামনে। আর সেটা হলো প্রতিপক্ষ দলের একজনকে নেওয়ার সুযোগ পেলে কাকে নেবেন? সেক্ষেত্রে মাশরাফি বেছে নেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে। এর পেছনে ব্যাখ্যা ছিলো কোহলিকে তিনি মনে করেন গ্রেট একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে।
এছাড়া এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিতে পেরে নিজেকে গর্বিতই মনে করছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘সত্যিকার অর্থে গর্ববোধ করি। সব কিছু আসলে মানসিক প্রস্তুতি। টুর্নামেন্ট খুব কাছেই চলে এসেছে। আর আমরা একটি দল হিসেবে খুবই রোমাঞ্চিত।’
মাশরাফির মতো বাকি দলের অধিনায়কও একই সুরে কথা বলেন। স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের অধিনায়ক এউইন মরগান অবশ্য স্বাগতিক হওয়ার ফায়দা পুরোপুরি নেওয়ার কথাই বললেন। তবে তিনি কখনও স্বপ্নেও ভাবেননি নিজের দলকে ঘরের মাঠেই নেতৃত্ব দিতে পারবেন, ‘ওরা সবাই স্বাগতিক সুবিধাকে এগিয়ে রাখছে.. আহ তবে আমাকে বলতেই হচ্ছে ঘরের মাটিতে ইংল্যান্ডকে নেতৃত্ব দেবো এমনটি কখনও স্বপ্নেও ভাবিনি।’