নিউজিল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠার দৌড়ে টিকে রইল পাকিস্তান। সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন বাবর আজম
পাকিস্তান তাহলে ১৯৯২ বিশ্বকাপের পথেই হাঁটছে!
সেবার পাকিস্তানের প্রথম ছয় ম্যাচের ফলের সঙ্গে হুবহু মিল রয়েছে এবার। আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সপ্তম ম্যাচে এসেও মিলটা ধরে রাখল পাকিস্তান। ১৯৯২ বিশ্বকাপে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে টুর্নামেন্টের সেমিতে ওঠার পথে টিকে ছিল ইমরান খানের দল। এজবাস্টনেও আজ ঠিক একই পথে হাঁটল সরফরাজ আহমেদের দল। নিউজিল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠার পথে টিকে রইল পাকিস্তান।
৭ ম্যাচে মোট ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ছয়ে উঠে এল পাকিস্তান। তাদের (-০.৯৭৬) সমান পয়েন্ট পেলেও রানরেটে এগিয়ে থাকায় টেবিলের পাঁচে বাংলাদেশ (-০.১৩৩)। তবে পাকিস্তানের এ জয়ে বাংলাদেশ দলের ওপর চাপ কিছুটা হলেও বাড়ল। দুই দলেরই পয়েন্ট সমান, হাতেও রয়েছে সমান দুটি করে ম্যাচ। অর্থাৎ সেমিতে ওঠার দৌড়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করতে হবে দুই দলকে। আর আজকের হারে সেমিফাইনালে ওঠার অপেক্ষা বাড়ল নিউজিল্যান্ডের। ৭ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে কেন উইলিয়ামসনের দল।
জয়ের জন্য পাকিস্তানকে ২৩৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। উইলিয়ামসনরা ব্যাটিংয়ের সময়ই স্পিনারদের বল বেশ বাঁক নিয়েছে। তাতে বিশ্লেষকেরা ভেবেছিলেন, নিউজিল্যান্ডের স্কোর মোটামুটি হলেও তাড়া করা সহজ হবে না পাকিস্তানের জন্য। সহজ যে হয়েছে তা নয়, তবে তাড়া করে জয় তুলে নিতে তেমন একটা বেগও পায়নি সরফরাজের দল। বাবর আজমের সেঞ্চুরি এবং হারিস সোহেলের ৬৮ রানে ভর করে ৫ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান। ১২৭ বলে ১০১ রান করে অপরাজিত ছিলেন বাবর।
২৪.৫ ওভারের মধ্যে ১১০ রান তুলতে ৩ উইকেট হারিয়েছিল পাকিস্তান। এরপর চতুর্থ উইকেটে বাবর-হারিসের ১২৬ রানের জুটিতে জয় পেতে কোনো সমস্যা হয়নি সরফরাজের দলের। তবে শুরুতে কিন্তু ভালোই শঙ্কায় পড়েছিল উপমহাদেশের দলটি। তৃতীয় ওভারে ফখর জামানকে (৯) তুলে নেন ট্রেন্ট বোল্ট। ১১তম ওভারে লকি ফার্গুসনের বলে ইমাম-উল-হকের (১৯) দুর্দান্ত ক্যাচ নেন মার্টিন গাপটিল। এরপর বাবরের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৬৬ রানের জুটি গড়েছিলেন মোহাম্মদ হাফিজ।
জুটি ভাঙতে শেষ পর্যন্ত বল হাতে তুলে নিয়েছিলেন কিউই অধিনায়ক উইলিয়ামসন। ‘পার্ট টাইম’ এ স্পিনারকে অযথাই উড়িয়ে মারতে গিয়ে উইকেট উপহার দেন হাফিজ (৩২)। তখনো বেশ ভয় ছিল পাকিস্তানের। কারণ মিচেল স্যান্টনার ও উইলিয়ামসনের বল বেশ বড় বড় বাঁক নিচ্ছিল। বিশেষ করে স্যান্টনার বেশ কয়েকবার বিপদে ফেলেছিলেন বাবর ও হারিসকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুজন কোনো বিপদ ঘটতে দেননি। আট বোলার ব্যবহার করেও সময়মতো তাঁদের জুটি ভাঙতে পারেননি উইলিয়ামসন। পাকিস্তান জয় থেকে মাত্র ২ রান দূরে থাকতে রান আউট হন হারিস।