Site icon দ্বিপ্রহর ডট কম

দক্ষিণ আফ্রিকানরা এই হার মেনে নেবে না, মানছেন ডু প্লেসি

দক্ষিণ আফ্রিকানরা এই হার মেনে নেবে না, মানছেন ডু প্লেসি

বাংলাদেশের কাছে তারা আগেও হেরেছে। সত্যি বলতে কি, বাংলাদেশই একমাত্র এশিয়ান দল, বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকাকে একবারের বেশি হারিয়েছে। যে কীর্তি ভারত-পাকিস্তানেরও নেই। ২০০৭ সালে বাংলাদেশের কাছে হেরে যাওয়াটা তবু অঘটন ছিল। কিন্তু এবার কি আর প্রোটিয়ারা অঘটন বলে হা-হুতাশ করতে পারবে? এই বাংলাদেশ তো বদলে যাওয়া এক দল!

দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি অবশ্য মনে করেন, এই পরাজয় সহজভাবে মেনে নেবে না দক্ষিণ আফ্রিকানরা। বিশেষ করে টানা দুই পরাজয়ে বিশ্বকাপ শুরু, এটা হজম করতে সময় তো লাগবেই। ডু প্লেসি বলেছেন, ‘আমাদের কাজটা আরও জটিল হয়ে গেল। দক্ষিণ আফ্রিকানরা খেলাধুলাকে গর্বের সঙ্গে নেওয়া এক দেশ। আমরাও আমাদের সামর্থ্যের পুরোটা খেলতে পারছি না। ৫০-৬০ শতাংশ খেলতে পারছি।’

আজ ভাগ্য দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ছিল। একের পর এক বল গিয়ে পড়েছে নো ম্যানস ল্যান্ডে। রান আউটগুলো হয়নি। ক্যাচও পড়েছে। হাফ চান্সগুলো নিতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে ডু প্লে মনে করেন, কিছুই তাদের পক্ষে ঠিকঠাক মতো হয়নি, ‘আজ কোনো কিছুই পরিকল্পনা মতো হয়নি। লুঙ্গির চোট নিয়ে উঠে যাওয়াটা আমাদের চাপে ফেলে দিয়েছিল। তবুও বলব, আমাদের বাকি যে বোলিং আক্রমণ, তাতেও ৩৩০ অনেক বেশি স্কোর। এটা মোটেও ভালো কোনো পারফরম্যান্স হলো না। ফিরে তাকিয়ে এটাই আমার উপলব্ধি।’

টসে হারটাও প্রভাব ফেলেছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ডু প্লেসি বলেছেন, ‘আমি হয়তো প্রথমে বল করতাম না টস জিতলে। কিন্তু এটাও সত্যি, এই উইকেটে যথেষ্ট গতি আর বাউন্স ছিল। দক্ষিণ এশিয়ান দলগুলোর জন্য যেটা সুবিধা, ওরা এখানে প্রথমে ব্যাট করে বেশি রান তুলে ফেললে পরে ব্যাট করা দলকে রান রেটের চাপে ফেলে দিতে পারে। তার ওপর আমাদের ডেথ বোলারদের একজন লুঙ্গি তো ছিলই না। তবে কাগিসো রাবাদা তো ছিল। তার পরও শেষ ৪ ওভা ৫৪ রান হজম করতে হলো, এটা ধ্বংস করে দিয়েছে আমাদের।’

Exit mobile version