দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩৩১ রানের বড় লক্ষ্যই দিয়েছিল বাংলাদেশ। এই ম্যাচ জিততে হলে বিশ্বকাপের ইতিহাসে চেজের নতুন একটা রেকর্ডই গড়তে হতো প্রোটিয়াদের। ওভালে রবিবার সেই রেকর্ড আর গড়তে পারেনি তারা। নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেটে ৩০৯ রানের বেশি করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। মুস্তাফিজুর রহমান ও সাইফুদ্দিনদের দারুণ বোলিংয়ে ২১ রানের জয় দিয়েই ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ শুরু করল বাংলাদেশ।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কিছুটা সতর্ক সূচনাই করে দক্ষিণ আফ্রিকা। রান আউটের ফাঁদে পড়ে দলীয় ৪৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। এ সময় ২৩ রান করে ফিরে যান কুইন্টন ডি কক। অপর ওপেনার এইডেন মার্করামকে বোল্ড করে দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটান সাকিব। দলীয় ১০২ রানে আউট হওয়ার আগে তিনি করেন ৪৫ রান।
প্রয়োজনের সময় ফাফ ডু প্লেসিসের উইকেট তুলে নিয়েছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। প্লেসিস করেন ৬২ রান। এরপর ডেভিড মিলার ও ভেন ডার দুসেন ঠাণ্ডা মাথায় এগিয়ে যাচ্ছিলেন। আর সেখানেই বাঁধ সাধেন মুস্তাফিজ। মিলারকে নিজের প্রথম শিকারে পরিণত করেন তিনি। আউট হওয়ার আগে মিলার করেন ৩৮ রান।
এরপর দুসেনকে (৪১) বোল্ড এবং পেলুকায়োকে সাকিবের ক্যাচে পরিণত করেন সাইফুদ্দিন। সাইফুদ্দিনের জোড়া আঘাতের পর মুস্তাফিজ পরপর দুই উইকেট তুলে নন। ক্রিস মরিসকে সৌম্যর ক্যাচে পরিণত করেন মুস্তাফিজ। এরপর দলীয় ২৮৭ রানে জেপি ডুমেনি (৪৫) মুস্তাফিজের বলে বোল্ড হয়ে যান। এতে ম্যাচ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসে বাংলাদেশের।
এর আগে রবিবার বিকেলে বিশ্বকাপে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে রবিবার বিকেলে ওভালে টস হেরে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নামতে হয় বাংলাদেশকে। মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানের জোড়া হাফসেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৩৩০ রান করে মাশরাফি বাহিনী। ওয়ানডেতে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। মুশফিক ৮০ বল থেকে ৭৮ এবং সাকিব ৮৪ বলে করেন ৭৫ রান। এছাড়া তৃতীয় উইকেটে সাকিব-মুশফিক বিশ্বকাপে বাংলাদেশর সর্বোচ্চ ১৪২ রান করেন। সাকিব এই ম্যাচে সব ফরম্যাটে ১১ হাজারি ক্লাবে নাম লেখান।
এছাড়া মাহমুদউল্লাহ ৩৩ বল থেকে অপরাজিত ৪৬ ও সৌম্য সরকার ৩০ বলে ৪২ রান করেন। প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে ক্রিস মরিস, ইমরান তাহির ও আন্দিলে পেলুকায়ো দুটি করে উইকেট নেন।
ইত্তেফাক/কেআই