বিষয়ঃ বঙ্গবন্ধুর নামে প্রতিষ্ঠিত মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলঙ্ক- মুক্ত হোক।
প্রিয় আপা,
সশ্রদ্ধ সালাম।
মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের সাথে যে অবিচার হয়েছে, তার প্রতিবাদে পচাত্তুর পরবর্তী এবং আমাদের সময়কার (200১ -২০০৯) সাধারণ ডাক্তার সমাজ রাজ পথে সময় দিয়েছে উল্লেখ করার মত ।
ডাক্তার সমাজে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, দেশপ্রেম এবং আপনার প্রতি অবিচল আস্থার সমর্থকই সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল সবসময়। মেধাবীরা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয় ভালো ডাক্তার হওয়া এবং মানব সেবার স্বপ্ন নিয়ে, রাজনীতি লক্ষনা।
কিছু স্যাররা যারা হয়তো আওয়ামীলীগে কে ভালবাসে কিন্তু “নিজেদের উন্নতিই আওয়ামীলীগের স্বার্থ”, এই ভুল ফিলসফি প্রতিষ্ঠা করে চিকিৎসা পেশাকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক পেশাতে পরিণত করেছে এখন। নূতন ডাক্তারা (আমাদের সমর্থকরা) এখন অ্যানাটমি, ফিজিওলজির চেয়ে রাজনতিক নেতার পিছে ঘুরাকেই উন্নতি মনে করছে ।নিজেরদের তুলনা করে অভিনেতা /নেতা/ খেলোয়াড়/ ব্যবসায়ীদের সাথে ।প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় তারা বাদ পড়ছে, নেতাদের ভ্রান্ত দিকনির্দেশনার কারণে ।
স্বাচিপ, সৃষ্টি হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ডাক্তারদের নিয়ে আর আমাদের নেতাদের বর্তমান আদর্শ: নিজের প্রমোশন/ উন্নতি, স্বাস্থ্যখাতে লুট, সবশেষে এমপি হওয়া ।তরুণ চিকিৎসকরা দুর্নীতিবাজ চিকিৎসক নেতার আদর্শে স্বাচিপ করেনা, তারা জিম্মি, মুক্তি চায় । এইভাবে চললে, স্বাচিপ এর ভবিষ্যৎ প্রশ্ন পত্র ফাঁস এর কল্যাণে যারা চিকিৎসক, তাদের হাতে যাবে ।
মাঠপর্যায় মেডিকেল/ ডেন্টাল রাজনীতির অভিজ্ঞতা থাকার কারণে প্রতিপক্ষের সম্পর্কে ধারনা আছে। টিভিতে আমাদের ডাক্তাররা যায় জাতীয় রাজনীতি নিয়ে কথা বলতে, চিকিৎসা -বিজ্ঞান নিয়েনা । রাজনৈতিক ডাক্তার সব আমাদের দলে ভিড়ছে, চিকিৎসকদের প্রতি সাধারণ জনগণের বিরূপ ধারনার মূলকারণ অতিরাজনীতি, দায়ভার আওয়ামীলীগের উপর পড়ছে ।
অল্প কিছু চিকিৎসক নেতাদের অতিরাজনৈতিক কর্মকাণ্ড তো কর্মক্ষেত্রে নিজের অক্ষমতা ঢাকার জন্য ।স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির প্রধান আসামি তো রাজনৈতিক চিকিৎসকরা, যারা নিজেদের অর্থ/ ক্ষমতা লিপ্সুতার জন্য দেশ, রাজনৈতিক মতাদর্শ এবং সর্বোপরি নিজপেশাকে বিকিয়ে দিয়েছে তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারী এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছে ।
যে চিকিৎসক নিজের পেশাতে বিশ্বস্তনা, তার রাজনৈতিক আদর্শের প্রতি বিশ্বস্ততার মূল্য কতটুকু !!!! সাধারণ জনগণ সম্ভবত, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী ডাক্তারদের মানবিক সু -চিকিৎসক হিসাবে দেখতে চায়, রাজনৈতিক নেতা হিসাবেনা।
চিকিৎসক সমাজের ও যদি প্রধান লক্ষ্য রাজনীতি হয়, তখন অন্য পেশার পেশাদারিত্ব সহজেই অনুমেয় ।এই দেশের জন্য বঙ্গবন্ধু এবং আওয়ামীলীগ পরিবারের আত্মত্যাগের সফলতা পেশাজীবীদের পেশাগত দক্ষতা ও সততার মধ্যে নিহিত।
বঙ্গবন্ধুর চিকিৎসা বিষয়ক ভাষন (১৯৭২ সালের ৮অক্টোবর পিজি হাসপাতালে রক্তসংরক্ষনাগার ও মহিলা ওয়ার্ডের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে চিকিৎসক সহ উপস্হিত অন্যান্যদের সমাবেশে দেওয়া) শেয়ার /লাইক/ পঠিত হয়েছে অনেক, মানছে কতজন চিকিৎসক?
বিএসএমএমউ নিয়োগে স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি এবং ছাত্রলীগ রহিত করণ হয়েছে ।অভিযোগ গুলো সুনির্দিষ্ট এবং সুস্পষ্ট ।ফলাফল বাতিল করে মেধা ভিত্তিক নিয়োগই মুজিব আদর্শের নূতন প্রজন্মের চিকিৎসকদের দাবী ।ছাত্রলীগকরা তরুণ চিকিৎসকরা আজ মেধা ভিত্তিক নিয়োগের জন্য অনশনরত, হামলায় তারক্ষত-বিক্ষত, চিকিৎসকের রক্তে বঙ্গবন্ধুর নামের প্রতিষ্ঠান আজ রঞ্জিত, কলঙ্কিত । আপনার সদয় হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করছি ।
চিকিৎসা পেশাতে “আওয়ামীলীগত্ব সিনিয়রদের জন্য আশীর্বাদ আর জুনিয়রদের জন্য অভিশাপ” চলমান এই ধারা চাটুকার/ অযোগ্য চিকিৎসকের বংশ-বৃদ্ধি করছে আর দেশের স্বাস্থ্য-ব্যবস্থা এবং আওয়ামীলীগ সমর্থক চিকিৎসকদের মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দিচ্ছে ।
শুধুমাত্র আপনার কারণে বাংলাদেশের অতি নিকট ভবিষ্যৎ রদ্রুচ্ছল হলেও, কাছের দূরে ঘন কালো মেঘ।
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
জয় শেখ হাসিনা
ডাক্তার টুটুল
প্রভাষক
টোকিয়ো মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল ইউনিভার্সিটি