1. mdabirhossain.6894@gmail.com : Abir Hossain : Abir Hossain
  2. info@diprohor.com : admin :
  3. bappi.kusht@gmail.com : Bappi Hossain : Bappi Hossain
  4. biplob.ice@gmail.com : Md Biplob Hossain : Md Biplob Hossain
  5. mahedi988.bd@gmail.com : Mahedi Hasan : Mahedi Hasan
  6. mamunjp007@gmail.com : mamunjp007 :
  7. media.mrp24@gmail.com : এস এইচ এম মামুন : এস এইচ এম মামুন
  8. rakib.jnu.s6@gmail.com : Rakibul Islam : Rakibul Islam
  9. mdraselali95@gmail.com : Rasel Ali : Rasel Ali
  10. rockyrisul@gmail.com : Rocky Risul : Rocky Risul
  11. rouf4711@gmail.com : আব্দুর রউফ : আব্দুর রউফ
  12. sohan.acct@gmail.com : Sohanur Rahman : Sohanur Rahman
বাংলাদেশের দুধের মান নিয়ে সরকারি দুই সংস্থার দুইরকম বক্তব্য কেন? | দ্বিপ্রহর ডট কম
বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ০৩:৫১ অপরাহ্ন

বাংলাদেশের দুধের মান নিয়ে সরকারি দুই সংস্থার দুইরকম বক্তব্য কেন?

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম: বুধবার, ২৬ জুন, ২০১৯
  • ৭১৫ বার পঠিত
বাংলাদেশের দুধের মান নিয়ে সরকারি দুই সংস্থার দুইরকম বক্তব্য কেন?

বাংলাদেশের বাজারে যেসব তরল দুধ পাওয়া যায় সেগুলো কতটা মানসম্মত সে বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই উদ্বেগ রয়েছে।

মাস ছয়েক আগে ন্যাশনাল ফুড সেফটি অথরিটি বাজারে তরল দুধ এবং দুগ্ধজাত সামগ্রীর নমুনা নিয়ে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করেছিল।

সেখানে বেশিরভাগ নমুনাতে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নানা উপাদানের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) মঙ্গলবার হাইকোর্টে একটি প্রতিবেদন দাখিল করে বলেছে তাদের দ্বারা অনুমোদিত পাস্তুরিত তরল দুধে কোন ক্ষতিকারক উপাদান নেই।

মে মাসের ২৩ তারিখ থেকে ২৯ তারিখ পর্যন্ত বিএসটিআই-এর অনুমোদিত ১৮টি কোম্পানির পাস্তুরিত তরল দুধের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

এর মধ্যে কোন ক্ষতিকারক উপাদান মেলেনি বলে উল্লেখ করা হয়েছে আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে।

বাজারে বিদ্যমান প্যাকেট-জাত তরল দুধের গুণাগুণ নিয়ে দুটো সংস্থার দুই রকমের প্রতিবেদন সাধারণ মানুষের মধ্যে কিছু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। যদিও উভয় পরীক্ষার মধ্যে সময়ের ব্যবধান প্রায় ছয় মাস।

ঢাকার ভেতরে অনেকেই খাঁটি দুধের নিশ্চয়তা দিয়ে ছোট বড় খামাড় গড়ে তুলেছেন
ঢাকার ভেতরে অনেকেই খাঁটি দুধের নিশ্চয়তা দিয়ে ছোট বড় খামাড় গড়ে তুলেছেন

বিএসটিআই-এর পরীক্ষা নিয়ে পুরোপুরি আশ্বস্ত হবার কারণ দেখছেন না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক এ কে লুৎফর কবির।

তিনি বলেন, ছয়মাস আগে ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরা বাজার থেকে তরল দুধ এবং দুগ্ধজাত সামগ্রীর নমুনা সংগ্রহ করে গবেষণাগারে পরীক্ষা করেছে।

অধ্যাপক কবির বলেন, ন্যাশনাল ফুড সেফটি অথরিটি নমুনা পরীক্ষা করে তরল দুধে সেসব ক্ষতিকর উপাদান পেয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারেও মোটামুটি একই রকম ফলাফল এসেছে।

“এই যে তারা সীসা এবং অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে বলছে সেটা মিথ্যা কথা না। এটা সত্য,” বলছিলেন অধ্যাপক কবির।

বাজারে বিএসটিআই-এর অনুমোদন ছাড়াও আরো অনেক কোম্পানি আছে যারা প্যাকেট-জাত পাস্তুরিত দুধ বিক্রি করে। বিএসটিআই বলছে তারা শুধু তাদের দ্বারা অনুমোদিত কোম্পানিগুলোর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেছে।

বিএসটিআই-এর এ পরীক্ষা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অধ্যাপক কবির।

“যখন বিএসটিআই তাদের কাছে স্যাম্পল (নমুনা) চায়, তখন তারা বেস্ট স্যাম্পল দেয়। ওখানে কোন সমস্যা থাকেনা। কারণ ওরা সেভাবেই বিএসটিআইকে স্যাম্পল দেয়,” বলছিলেন অধ্যাপক কবির।

তিনি মনে করেন, বিএসটিআই যদি বিভিন্ন জেলা থেকে ভিন্ন-ভিন্ন সময়ে তরল দুধের নমুনা সংগ্রহ করতো, তাহলে ফলাফল ভিন্ন হতে পারতো।

ফ্যাক্টরি থেকে খুচরা বাজার পর্যন্ত দুধ পৌঁছাতে যে সময় লাগে তখন অনেক ক্ষেত্রে সেটি যথাযথ মাত্রায় সংরক্ষণ করা হয়না। সেজন্য দুধে ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি বাড়ে বলে অধ্যাপক কবির উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশের অনেক নারীরা খামার করে থাকেন
বাংলাদেশের অনেক নারীরা খামার করে থাকেন

তবে বিএসটিআই-এর আইনজীবী সরকার এম হাসান বলেন, সংস্থাটি আদালতে যে প্রতিবেদন দাখিল করেছে, সেটি তৈরি করা হয়েছে দুইভাবে নমুনা সংগ্রহের মাধ্যমে।

মি: হাসান বলেন, ফ্যাক্টরি থেকে সরাসরি নমুনা সংগ্রহের পাশাপাশি খুচরা বাজার থেকেও নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সর্বশেষ যেসব নমুনা সংগ্রহ করা সেগুলো নিয়ে কোন প্রশ্নের অবকাশ থাকতে পারেনা বলে মনে তিনি।

তবে এবারের পরীক্ষায় ক্ষতিকারক উপাদানের অস্তিত্ব না থাকলেও ভবিষ্যতে যে থাকবে না সেটি নিশ্চিত করে বলা যায়না বলে উল্লেখ করেন মি: হাসান।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত দ্বিপ্রহর ডট কম-২০১৭-২০২০
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazardiprohor11