1. mdabirhossain.6894@gmail.com : Abir Hossain : Abir Hossain
  2. info@diprohor.com : admin :
  3. bappi.kusht@gmail.com : Bappi Hossain : Bappi Hossain
  4. biplob.ice@gmail.com : Md Biplob Hossain : Md Biplob Hossain
  5. mahedi988.bd@gmail.com : Mahedi Hasan : Mahedi Hasan
  6. mamunjp007@gmail.com : mamunjp007 :
  7. media.mrp24@gmail.com : এস এইচ এম মামুন : এস এইচ এম মামুন
  8. rakib.jnu.s6@gmail.com : Rakibul Islam : Rakibul Islam
  9. mdraselali95@gmail.com : Rasel Ali : Rasel Ali
  10. rockyrisul@gmail.com : Rocky Risul : Rocky Risul
  11. rouf4711@gmail.com : আব্দুর রউফ : আব্দুর রউফ
  12. sohan.acct@gmail.com : Sohanur Rahman : Sohanur Rahman
রোহিঙ্গা সংকট: বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের অপরাধে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা বাড়ছে? | দ্বিপ্রহর ডট কম
সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ০৮:২৩ অপরাহ্ন

রোহিঙ্গা সংকট: বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের অপরাধে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা বাড়ছে?

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম: বুধবার, ২৬ জুন, ২০১৯
  • ৬৯৩ বার পঠিত
রোহিঙ্গা সংকট: বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের অপরাধে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা বাড়ছে?

বাংলাদেশের কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তিনজন ব্যক্তি নিহত হয়েছে, যারা রোহিঙ্গাদের বিদেশে পাচারের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে পুলিশ বলছে।

পুলিশের দাবি, এই ব্যক্তিরা সাগর পথে রোহিঙ্গাদের মালয়েশিয়ায় পাচারের সঙ্গে জড়িত ছিল।

এর আগে রবিবার টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে তিনজন রোহিঙ্গা নিহত হয়, যারা মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে পুলিশ বলছে।

১১ই জুন টেকনাফে বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন আরেকজন রোহিঙ্গা, যার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে। অন্যদিকে ৭ই জুন বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে তিনজন রোহিঙ্গা, যারা একটি শিশু অপহরণ ও হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।

সংবাদদাতারা বলছেন, এ নিয়ে গত ছয় মাসে কক্সবাজার জেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে অন্তত ২০জন নিহত হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা, অপহরণ, হত্যা বা মানব পাচারের অভিযোগ রয়েছে।

সংবাদদাতারা বলছেন, নানারকম অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গারা
সংবাদদাতারা বলছেন, নানারকম অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গারা

রোহিঙ্গাদের অপরাধে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা বাড়ছে?

সংবাদদাতারা বলছেন, বেশ কিছুদিন ধরে কক্সবাজারে অনেক অপরাধের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাচ্ছে। জেলার একাধিক আইনশৃঙ্খলা সভায় এই বিষয়ে আলোচনাও হয়েছে।

কক্সবাজার থেকে সাংবাদিক তোফায়েল আহমেদ বলছেন, ”মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের ভেতরে ইয়াবা নিয়ে আসার মূল কাজটা করে রোহিঙ্গারা। আমরা জানতে পেরেছি, মিয়ানমারের যারা ইয়াবা তৈরি করে, তারাই বাংলাদেশের ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে, যাতে তারা গিয়ে ইয়াবা নিয়ে আসে। এরপর এগুলো বাংলাদেশি নানা চক্রের মাধ্যমে দেশের ভেতর ছড়িয়ে যায়।”

ইয়াবা পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা কারাগারে রয়েছে।

তবে মাদক ব্যবসা ছাড়া অনেক রোহিঙ্গার বিরুদ্ধে মানব পাচার, অস্ত্র ব্যবসা, ডাকাতি আর অপহরণের মতো অভিযোগ রয়েছে।

৭ই জুন পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে যে তিনজন রোহিঙ্গা নিহত হয়, তাদের একজন রোহিঙ্গা শিশু অপহরণের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন বলছেন, “রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা হয়তো কম। কিন্তু ২০১৭ সালে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা দেশে আসার পর থেকে অনেক অপরাধের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার কথা আমরা জানতে পারছি। ”

”যেমন ইয়াবা চোরাচালানের সঙ্গে তাদের অনেকে জড়িত রয়েছে। মানব পাচার, ডাকাতি বা অপহরণের সঙ্গেও তাদের জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া যায়।”

ইয়াবা চালানের সঙ্গে রোহিঙ্গারা জড়িত রয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে
ইয়াবা চালানের সঙ্গে রোহিঙ্গারা জড়িত রয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে

রোহিঙ্গারা কী বলছে

উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কয়েকজন বাসিন্দা বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, অপহরণ, ইয়াবা চোরাচালান, মানব পাচারের যেসব অভিযোগ উঠেছে, তার সবই সত্য।

কিন্তু হামলার আশংকায় তারা পরিচয় প্রকাশ করতে রাজি হননি।

একজন রোহিঙ্গা বলছেন, ”আমার পরিচিত একজন ধরে নিয়ে গিয়ে মুক্তিপণ আদায় করেছে। কিন্তু এ নিয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে যেতে পারিনি। তাহলে আমাদের ওপর আবার অত্যাচার করবে।”

আরেকজন রোহিঙ্গা বলছেন, তার একজন আত্মীয়কে মালয়েশিয়ায় ভালো কাজের কথা বলে নৌপথে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু একবছর পার হয়ে গেলেও তার কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতর একটি চক্রের সদস্যদের কাছে অস্ত্র রয়েছে এবং পাহাড়ি এলাকায় তাদের গোপন আস্তানা রয়েছে বলে এই ব্যক্তিরা বলছেন। কিন্তু এদের বিরুদ্ধে কেউ পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে সাহস পান না বলে তারা জানিয়েছেন।

তবে তাদের এসব অভিযোগ বিবিসির পক্ষে যাচাই করে দেখা সম্ভব হয়নি।

পুলিশ কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন বলছেন, “পাহাড়ে কিছু দুষ্কৃতকারী আশ্রয় নেয় বলে আমরা জানতে পারি, যাদের মধ্যে রোহিঙ্গারাও রয়েছে। মাঝেমাঝেই সেখানে আমাদের অভিযান চলে। অতীতে অনেককে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।”

সংবাদদাতারা বলছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতেও একাধিক গ্রুপ বা কোন্দল রয়েছে। নিজেদের মধ্যে কোন্দলের কারণে গত দুই বছরে ৩০ জনের বেশি নিহত হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

ফলে শিবিরগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোসহ নজরদারি বাড়ানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে।

রোহিঙ্গা: কামরুর আর কখনো বাড়ি ফেরা হবে?

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত দ্বিপ্রহর ডট কম-২০১৭-২০২০
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazardiprohor11