1. mdabirhossain.6894@gmail.com : Abir Hossain : Abir Hossain
  2. info@diprohor.com : admin :
  3. bappi.kusht@gmail.com : Bappi Hossain : Bappi Hossain
  4. biplob.ice@gmail.com : Md Biplob Hossain : Md Biplob Hossain
  5. mahedi988.bd@gmail.com : Mahedi Hasan : Mahedi Hasan
  6. mamunjp007@gmail.com : mamunjp007 :
  7. media.mrp24@gmail.com : এস এইচ এম মামুন : এস এইচ এম মামুন
  8. rakib.jnu.s6@gmail.com : Rakibul Islam : Rakibul Islam
  9. mdraselali95@gmail.com : Rasel Ali : Rasel Ali
  10. rockyrisul@gmail.com : Rocky Risul : Rocky Risul
  11. rouf4711@gmail.com : আব্দুর রউফ : আব্দুর রউফ
  12. sohan.acct@gmail.com : Sohanur Rahman : Sohanur Rahman
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ব্যর্থতার দায় স্বীকার জাতিসংঘের | দ্বিপ্রহর ডট কম
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৫ পূর্বাহ্ন

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ব্যর্থতার দায় স্বীকার জাতিসংঘের

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম: বৃহস্পতিবার, ২০ জুন, ২০১৯
  • ৯০৮ বার পঠিত
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ব্যর্থতার দায় স্বীকার জাতিসংঘের

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ‘পদ্ধতিগত ব্যর্থতার’ প্রমাণ খুঁজে পেয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থা বলেছে, এই ব্যর্থতার কারণেই ২০১৭ সালে রোহিঙ্গারা দলে দলে দেশত্যাগ করতে বাধ্য হয়। গত সোমবার জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

মিয়ানমারে মুসলমান সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে হামলার সতর্ক বার্তা উপেক্ষা করার অভিযোগ ওঠে সে দেশে কর্মরত জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়ে মিয়ানমারে জাতিসংঘ কার্যালয়ের ভূমিকার বিষয়ে একটি অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন হাজির করতে গত ফেব্রুয়ারিতে আদেশ দেন বিশ্ব সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এরপরই এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট দেশটির রাখাইন রাজ্যে কয়েকটি নিরাপত্তাচৌকিতে সন্ত্রাসী হামলার জেরে সেখানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী। এরপর প্রাণ বাঁচাতে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে চলে আসে। জাতিসংঘ রোহিঙ্গা নিপীড়নকে ‘জাতিগত নিধনের উদাহরণ’ বলেছে।

পদ্ধতিগত ব্যর্থতার কথা বললেও এর সঙ্গে দায়ীদের শনাক্ত করা কঠিন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। নতুন এই প্রতিবেদন বলেছে, ‘জাতিসংঘের নীতিমালা অনুযায়ী ঘৃণ্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে না নেওয়ার সঙ্গে যুক্ত সব পক্ষই যৌথভাবে দায়ী।’

দুই বছর আগে যখন রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংস নিপীড়নের খড়্গ নেমে আসে, তখন মিয়ানমারে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি ছিলেন রেনেটা লক ডেসালিয়ান। মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্যে তিনি রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংস নিপীড়নের বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন বলে অভিযোগ ওঠে।

৩৬ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদন প্রস্তুত করেন গুয়াতেমালার প্রখ্যাত কূটনীতিক গার্ট রোজেনথাল। প্রতিবেদনে তিনি রোহিঙ্গা নিপীড়নের বিষয়ে স্বচ্ছ ও একতাবদ্ধ কৌশলের অনুপস্থিতি এবং মাঠপর্যায়ে পদ্ধতিগত ও একতাবদ্ধ বিশ্লেষণের ত্রুটির কথা উল্লেখ করেন। রোহিঙ্গা নিপীড়ন ঠেকাতে জাতিসংঘের ব্যর্থতার কারণগুলো নিয়ে তিনি লেখেন, মিয়ানমারে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অতি উৎসাহ একটি কারণ।

রোজেনথাল বলেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে তৎকালীন জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনার জেইদ রা’আদ-আল হোসেন প্রায়ই সমালোচনা করতেন। এই বিষয়টি জাতিসংঘের কিছু মানুষের মধ্যে উদ্বেগের জন্ম দিয়েছিল, যারা মুখে কুলুপ আঁটা কূটনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির পক্ষে কাজ করতেন।

এই বিষয়ে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিচ বলেন, মহাসচিব গুতেরেস সুপারিশগুলো গ্রহণ করেছেন এবং জাতিসংঘের কার্যপদ্ধতির উন্নতি করতে সেগুলো বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের জাতিসংঘের পরিচালক লুই চরবোনিউ বলেছেন, মিয়ানমারে জাতিগত নিধনের বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার পুরোটা দায় জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের। তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত দ্বিপ্রহর ডট কম-২০১৭-২০২০
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazardiprohor11