কত তির্যক, কত বাঁকা প্রশ্নই তো শুনতে হয় তাঁকে। তবুও সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বিন মুর্তজাকে বিরক্ত হতে দেখা যায় না। এই প্রশ্নটাও তিনি হাসিমুখেই দিলেন। তবে প্রশ্নটা যে তাঁর ভালো লাগেনি, সেটি উত্তরেই স্পষ্ট।
এক সাংবাদিক প্রশ্ন করলেন, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বোলিং-ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশকে বেশ রক্ষণাত্মক দেখা গেছে। যখন ৩৯ বলে দরকার ২৭ রান আর বাংলাদেশের দরকার ৩ উইকেট, তখন কেন রক্ষণাত্মক কৌশলে খেলা? কালও কি একই কৌশলে খেলবে বাংলাদেশ? আজ কার্ডিফে ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নটার উত্তর মাশরাফি দিলেন এভাবে, ‘আসলে কোনটা রক্ষণাত্মক, কোনটা আক্রমণাত্মক, জানি না। হারলে আপনাদের কাছে হয়ে যায়। আপনারা বিশ্লেষণ তো কম করেন না! কাকে কোথায় আক্রমণ করতে হয় সেটাও আপনারা ভালো বোঝেন। হারলেই আপনারা প্রশ্ন বদলে ফেলেন। আমার কাছে মাঝে মাঝে মনে হয় আপনারা এভাবেই (প্রশ্ন বদল) করেন কি না।’
যে কৌশল নিয়ে প্রশ্ন, সেটির বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিলেন অধিনায়ক, ‘রক্ষণাত্মক (কৌশল) কোথাও ছিল না। যাকে আক্রমণ করার দরকার করা হয়েছে। দিন শেষে কিন্তু বোলারের বিষয় (ফিল্ডিং পজিশন ঠিক করা), বোলার কী চায়। পরিস্থিতির ওপরও অনেক কিছু নির্ভর করে। সবকিছু মাথায় রেখে ফিল্ডিং সাজিয়েছি। উইলিয়ামসন বা টেলর বলেন ওদের কথা মাথায় রেখে সাজাতে হয়। আমরা আমাদের সেরা চেষ্টা করেছি। সব সময় ওপরে (ফিল্ডার) রেখে বোলিং করিয়েছি। শুধুই ম্যাচের ফলের দিকে না তাকিয়ে কথা বললে ভালো হয়।’
সংবাদ সম্মেলনে শেষে মাশরাফি উল্টো প্রশ্ন করলেন প্রশ্নকর্তাকে, ‘শেষ দিকে দেখুন একদিকে মোসাদ্দেককে দিয়ে যখন বোলিং করিয়েছি, অন্য দিকে উইকেট বের করতে মোস্তাফিজকেও আনা হয়েছে। এখানে রক্ষণাত্মক হলাম কোথায়?’
নিউজিল্যান্ড এখন অতীত। বর্তমান হচ্ছে ইংল্যান্ড। ইংলিশদের বিপক্ষে কোন কৌশলে এগোবে বাংলাদেশ? এবার মাশরাফির কথা, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রক্ষণাত্মকই হচ্ছে আক্রমণাত্মক কৌশল, ‘ইংল্যান্ড যে ক্রিকেট খেলে ওদের সঙ্গে রক্ষণই হচ্ছে ইতিবাচক ক্রিকেট। ওরা গত চার বছরে দেখেন যেকোনো পরিস্থিতি আক্রমণাত্মক মানসিকতায় থাকে। সব সময়ই চায় সাড়ে তিন শ-চার শ রান করতে। ’
‘আক্রমণই সেরা রক্ষণ’ কৌশলটা একটু উল্টে যাচ্ছে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে—ইংল্যান্ডকে আটকাতে হবে রক্ষণাত্মক কৌশলে।