নিজস্ব প্রতিবেদক: যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা আর ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা পালন করেছে জাপানে বসবাসরত মুসল্লিরা।
রবিবার ঈদুল আযহার নামাজের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ঈদের আনুষ্ঠানিকতা । এসময় মসজিদে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করে বিভিন্ন দেশের মুসল্লিরা।
টোকিওর মদিনা মসজিদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয় ওজি হক্তপিয়া হলে। সেখানে তিন শতাধিক বাংলাদেশি মুসল্লির উপস্থিতিতে সকাল সাড়ে ৯ টায় শুরু হয় ঈদের প্রথম জামায়াত এবং দ্বিতীয় জামায়াত শুরু হয় সকাল সাড়ে ১০টায়। এছাড়া টোকিও এবং এর বাইরে বিভিন্ন মসজিদে বিভিন্ন দেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ঈদ উল আজহার নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে কুশল বিনিময় ও কোলাকোলি করে একে অপরের সঙ্গে।
প্রবাসী বাংলাদেশি অধ্যুষিত এবং বাংলাদেশিদের দ্বারা পরিচালিত টোকিওর কামাতা মসজিদ, হিগাশিজুজো মদিনা মসজিদ, সাইতামা প্রদেশের শিনমিসাতো মসজিদ, বায়তুল আমান মসজিদ, চিবা প্রদেশের ইনাগে মসজিদ, কানাগাওয়া প্রদেশের সাগামিহারা মসজিদে একাধিক ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সাপ্তাহিক কর্মদিবস হওয়া সত্ত্বেও প্রতিটি জামাতে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশির বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেন।
এছাড়াও বিভিন্ন শহরে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে মসজিদ নেই সেখানে বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টার কিংবা হল ভাড়া করে ঈদের নামাজের ব্যবস্থা করেন প্রবাসীরা। এসময় প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাশাপাশি আফ্রিকা এবং পশ্চিমা বিশ্বের বিভন্ন দেশের অন্যান্য কমিউনিটির ধর্মাবলম্বী মুসলমানদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে ঈদের জামাতগুলোতে। রং-বেরঙের বাহারি পোশাক গায়ে ঈদের নামাজ আদায় করেন বিভিন্ন দেশের মানুষ। এর ফলে ঈদগাহে সৃষ্টি হয় এক উৎসব মুখর পরিবেশ।
জাপানে বর্তমানে দুই শতাধিক মসজিদ রয়েছে। আরো বেশ কিছু নির্মাণাধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য, টোকিওতে পশু হত্যায় নিষেশাজ্ঞা থাকায় টোকিওর বাহিরের শহর থেকে কোরবানি দিতে হয়। বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে কোরবানির মাংস হাতে পেতে দুই তিনদিন সময় লেগে যায়।