আজকাল অনেককেই বলতে শোনা যায়, লিভারে চর্বি জমেছে। এ জন্য কী করা যায়? কী খাব, কী খাব না? এমন প্রশ্ন অনেকের।
ফ্যাটি লিভার আসলে দুই ধরনের। একটা হলো অ্যালকোহলিক লিভার ডিজিজ, যারা মদ্যপান করেন তাদের হয়। তাদের জন্য অ্যালকোহল বর্জনীয়। অন্যটি নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ। এটাই বেশি দেখা যায় আমাদের দেশে।
শর্করা ও ফ্যাট বিপাকক্রিয়ায় নানা ধরনের অসামঞ্জস্যের কারণে এ রোগ হয়। ওজনাধিক্য, ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত ট্রাইগ্লিসারাইড ইত্যাদি এর জন্য দায়ী।
অবশ্য চর্বির চেয়ে ফ্যাটি লিভারের জন্য বেশি দায়ী চিনি বা শর্করা। অতিরিক্ত শর্করাই চর্বি হিসেবে যকৃতে জমা হয়। তাই এদের উচিত হবে শর্করাজাতীয় খাবার, বেশি চিনি, কোমল পানীয়, জুস, শরবত, মিষ্টি ইত্যাদি পরিহার করা। ভাত কম খেয়ে বরং রুটি, ওটমিল ও জটিল শর্করা গ্রহণ করা।
ওমেগা ৩ তেলযুক্ত মাছ, যেমন—ইলিশ, রুপচাঁদা, স্যামন, টুনা লিভারের চর্বি শোধনে সহায়ক। এর বাইরে নানা ধরনের বাদাম বিশেষ করে আখরোট ফ্যাটি লিভারের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। প্রচুর পরিমাণে আঁশ আছে এমন শাকসবজি ও তাজা ফলমূল খেতে হবে। ফুলকপি, ব্রকলি, সবুজ শাক, অঙ্কুরোদগমসহ ছোলা বীজ ভালো। খেতে হবে আমিষের উৎস হিসেবে নানা ধরনের ডাল ও লো ফ্যাট দুধ।
ব্ল্যাক কফি ও সবুজ চা লিভারে চর্বি কমায় বলে গবেষণায় পাওয়া গেছে। ইদানীং ভিটামিন ডি-এর অভাবের সঙ্গে ফ্যাটি লিভারের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তাই ত্বকে সূর্যালোক লাগানো ভালো।
ডা. আ ফ ম হেলালউদ্দিন
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ