নিজস্ব প্রতিবেদেন: রাজধানীর মাতুয়াইল এলাকায় চাঁদা না পেয়ে ভোগদখল করে আসা ক্রয়কৃত নিজস্ব সম্পত্তির জাল দলিল দেখিয়ে জোরর্পূবক দখলের চেষ্টা করছে একটি সংঘবদ্ধচক্র।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, মোঃ আবদুল রহিম ইকবাল হোসনে গং ৩০.৮০ শতাংশ জমি ক্রয় করে নিজের নামে নামজারী করে সরকারী নিয়ম অনুযায়ী জমির সকল খাজনা পরিশোধ করে এযাবৎকাল র্পযন্ত ভোগ দখল করিয়া আসছেন কিন্তু হঠাত করে চাঁদা দাবী করে মাতুয়াইল এলাকার বাদশা মিয়ার পুত্র জাহাঙ্গীর মিয়া ও মাহাবুব মিয়া ক্রয়কৃত জমির মালিক মোঃ আবদুল রহিম ইকবাল হোসন চাঁদা দিতে অসম্মতি জানালে চাঁদা দাবীকরা জাহাঙ্গীর মিয়া ও মাহাবুব মিয়া জাল দলিল প্রদর্শন করে জমি দখলের চেষ্টা করে বিভিন্ন রকম হুমকি দিয়ে আসছে ।
চক্রটি সব সময় বিভিন্ন নিরীহ মানুষের জমির জাল দলিল বানিয়ে বিভিন্নভাবে টাকা আদায় করে। মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর মিয়া তৃতীয় ব্যক্তির মাধ্যমে জমির মালিকদের নিকট এক কোটি টাকা চাঁদা দেওয়ার জন্য প্রস্তাব পাঠান এবং বলেন যদি এক কোটি টাকা দিয়ে দেয় তাহলে আমরা জমি রেজিস্ট্রির সময় সাক্ষী হিসেবে থাকবো এবং কোন ঝামেলা করব না আর যদি তা না হয় মামলা চলছে চলবেই এটাকে ঠেকাতে পারবেন আমার নাম জাহাঙ্গীর মনে কথাটা রাখিস বলে হুমকি দেয়।
মাতুয়াইল এলাকার জাফর আলী নামের একজন জানান, সত্য মিথ্যা বলতে পারবোনা লোকের মূখে শুনেছি চাঁদা না পেয়ে ইকবাল হোসনে গং র ক্রয়কৃত জমির মালিকানা দাবী করছে জাহাঙ্গীর মিয়া ও মাহাবুব মিয়া এনিয়ে কোর্টে মামলা চলছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যক্তি বলেন, জাহাঙ্গীর মিয়া সবসময় মদজুয়া এসবের সাথে সম্পৃক্ত এবং কিছুদিন আগে ওদেরকে এই মদ জুয়ার আসর থেকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে এবং মুচলেকা দিয়ে জামিন এসেছে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে I
এবিষয়ে জানতে চাইলে ক্রয় সূত্রে জমির মালিক আবদুল রহিম ইকবাল হোসনে বলেন , জমি ক্রয় করেছি শান্তিতে বসবাস করবো বলে কিন্তু জমি কেনার পর শান্তিতো পাইনি বরং পেয়েছি অশান্তি। প্রথমে জাহাঙ্গীর মিয়া ও মাহাবুব আমার কাছে চাঁদা দাবী করে পরে দাবীকৃত চাঁদা না পেয়ে জাল দলিল দিয়ে আমার জমি দখলের চেষ্টা অব্যাহত রাখছে এতে করে আমি শারীরিক , মানসিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। ইকবাল হোসেন গং আরো বলেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তল্লাশি চালিয়ে তাদের জাল দলিলের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি এবং ওই নম্বরের কোন দলিল নাই বলে রিপোর্ট পাওয়া গেছে।
ইকবাল হোসেন আরো বলেন , সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তল্লাশি চালিয়ে তাদের জাল দলিলের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি এবং ওই নম্বরে কোন দলিল নাই বলে রিপোর্ট পাওয়া গেছে l
মাতুয়াইলে চাঁদা না পেয়ে জাল দলিল দেখিয়ে অবধৈভাবে জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে অভিযোক্ত জাহাঙ্গীর মিয়া এ জানান, আমি ভালো কি মন্দ তা আমার এলাকার মানুষই ভাল বলতে পারবে আমি ওনার সকল অযৌক্তিক বিষয়ের প্রতিবাদ করছি। আমি কখনো কোন ভাবে চাঁদা দাবী করিনি আমার দলিলও জাল দলিলনা এবিষয়ে বেশি কিছু বলতে চাইনা কারন জমির বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান আছে এবং জমির বিষয়ে সময়িক নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে আদালত। আদালত যে রায় দিবে তা আমি মেনে নেব।