Site icon দ্বিপ্রহর ডট কম

জাপানের আশিকাগায় পিঠা উৎসবের আয়োজন

জাপানের তোচিগি এলাকার আশিকাগা শহরে চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে সেখানে বসবারসত বাংলাদেশিরা।

গত রবিবার দিনব্যাপী নাচে-গানে, পিঠা প্রতিযোগিতা এবং বাচ্চাদের অংকন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে জমজমাট এক অনুষ্ঠান উপহার দেন।

ভাষার মাসকে সামনে রেখে অনুষ্ঠানের শুরুতেই ভাষা শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিটি নিরবতা পালন করা হয়। এছাড়াও তৈরি করা হয় অস্থায়ী শহীদ মিনার, যেখানে শিশু-কিশোররা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ভাষা শহীদদের। সমবেত কণ্ঠে গাওয়া হয় দেশাত্বকবোধক গান।

টোকিও, চিবা, কানাগাওয়া, সাইতামা, গুনমা, ইবারাকিসহ অন্যান্য প্রদেশগুলোতে বসবাসরত প্রবাসীরা মুখরোচক পিঠা তৈরি করে নিয়ে আসেন আশিকাগার পিঠা উৎসবে। বিবিখানা, পাটিসাপটা, চিতই, চন্দ্রপুলি, ভাপা, কুলি, মুগপাকন, তুলতুলে নারকেল পুলি, এলেবে গজা, তালের পিঠাসহ নানা রকম পিঠা স্থান পায় পিঠা উৎসবে।

মূল আয়োজনের প্রথমেই ছিল শিশু-কিশোরদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কোরআন তিলাওয়াত, আবৃত্তি, নাচ, গান দিয়ে শিশু কিশোরদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এরপর পিঠা প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে একে একে নিজেদের পিঠা নিয়ে হাজির হয় স্টেজে।

পিঠা নিয়ে বিচারকরা বিভিন্ন প্রশ্ন করেন এবং পিঠা নির্বাচনে পিঠার স্বাদ, পরিবেশনা, প্রতিযোগীদের উৎসব বান্ধব পোশাক নির্বাচন, পিঠার নামকরণ, ইতিহাস, উপকরণ ছিল বিচারিক বিবেচ্য বিষয়।

বিচারকরা পিঠার স্বাদ দেখছেন

প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন আশিকাগা শহরের রাবিতা নওশী। পিঠা প্রতিযোগিতায় বিচাররক হিসেবে ছিলেন, কাজী ইনসানুল হক, খোন্দকার আসলাম হিরা এবং শাম্মী আক্তার বাবলী। স্বাদ নির্বাচনের বিচারক হিসেবে ছিলেন, নুর আলী, বাদল চাকলাদার এবং মীর রেজা। অনুষ্ঠানের শেষভাগে র‌্যাফেল ড্র করা হয়। এতে ছিল আকর্ষণীয় সব পুরস্কার।

সুয়ামা লুবনার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠান বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতা করেন নোমান সায়েদ। এসময় উপস্থিত হয়ে, অনুষ্ঠানকে সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান নোমান-লুবনা দম্পত্তি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, রাজনীতিবীদ, ব্যবসায়ী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশার লোকজন।  

নিজস্ব প্রতিবেদক/জাপান

Exit mobile version