টোকিওতে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় দিন দিন লকডাউন ও জাতীয় জরুরী অবস্থার দিকে এগুচ্ছে।
এজন্য বুধবার রাতে টোকিওর গভর্নর ইউরিকো কইকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিস্ফোরক বৃদ্ধি এড়াতে বাসিন্দাদের বাসার ভিতরে থাকার জন্য ও দূর থেকে কাজ করতে এবং এই সাপ্তাহিক ছুটির দিনে প্রয়োজন ব্যতীত বাইরে বের না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
টোকিও মেট্রোপলিটন সরকার বৃহস্পতিবার নতুন করে ৪৭ জনের আক্রান্তের খবর নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া গত বুধবার ৪১ জন আক্রান্ত হয়।
বুধবার রাতে একটি সংবাদ সম্মেলনে কইকে বলেন, “আমাদের আশেপাশের মানুষের মধ্যে সচেতনতা উত্সাহিত করতে হবে এবং এই পরিস্থিতিগুলি কাটিয়ে উঠতে আমরা একসাথে কী করতে পারি তা নির্ধারণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ” “
শহরটির বুধবারের ঘোষণাপত্রটি শহরবাসীদের সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়াতে অনুরোধ করেছেন। পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী সায়তামা ও কানাগাওয়া, চিবা এবং ইয়ামানশি প্রদেশগুলিকে এই সপ্তাহান্তে তাদের বাসিন্দাদের টোকিও ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ জানান।
বৃহস্পতিবার, জাপান করোনাভাইরাসের প্রায় ২ হাজারেরও বেশি ঘটনা ঘটেছে এবং ডায়মন্ড প্রিন্সেস ক্রুজ জাহাজের প্রায় ৫০ জনেরও বেশি লোক মারা গিয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকার দেশের পথ নির্ধারণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করেছে। প্রাদুর্ভাবের আরও ভাল সাড়া দিতে এই ঘোষণার ফলে আবেকে সাম্প্রতিক সংশোধিত আইনের অধীনে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার পথ প্রশস্ত করা হয়েছে। যদিও সরকার বলেছে যে তারা এখনও এই ধরনের পদক্ষেপ বিবেচনা করছে না।
এ ঘোষণার পরপরই সাধারণ নাগরিকরা তাদের নিত্য প্রয়োজনী পণ্য কেনার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ে। ফলে সহসাই সুপার শপগুলো খালি হয়ে যায়।