বাবা মরহুম শফিকুল ইসলাম শিশু মিয়া ছিলেন একজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি। এলাকার মানুষকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য আমৃত্যু কাজ করে গেছেন। শিক্ষার পাশাপাশি সামাজিক কাজেও স্বস্তঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণই ছিল শিশু মাস্টার ধ্যান, জ্ঞান ও কর্ম।
সুশিক্ষাকে জীবনের ব্রত হিসেবে নিয়েই ফরদাবাদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে নিষ্ঠার সাথে পেশাগত কাজ করেছিলেন। আর সেই কারণেই এলাকাবাসী ও শিশু মাস্টারের হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী আজও শ্রদ্ধার সাথে ওনাকে স্মরণ করে। এমনি একজন আদর্শ শিক্ষকের ছেলে রাশিদুল ইসলাম রাশেদ।
বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ গ্রামে। সেই ছোটবেলা থেকেই বাবার আদর্শকে বুকে ধারণ ও লালন করেই বেড়ে উঠেছেন। আবহমান গ্রাম বাংলার নিরব প্রকৃতি ও মানুষের প্রতি মায়া মমতার বন্ধনই রাশেদকে ব্যক্তি ও কর্মজীবনে একজন প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলে।
বাবা শিশু মিয়া আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। বাবার মুখেই বঙ্গবন্ধুর জীবন চরিত্র ও আদর্শ এবং নীতি ও নৈতিকতার কথা শুনেছেন। সেই সাথে বঙ্গবন্ধু কিভাবে দেশকে স্বাধিন করেছেন, দেশের মানুষকে ভালবেসেছিলেন, দেশের মা মাটি ও মানুষের প্রতি বঙ্গবন্ধু কতটা টান ছিল, মায়া ছিল এসব কিছু বাবার কাছে মনোযোগ দিয়ে শুনতেন। বাবার মুখে বঙ্গবন্ধুর গল্প শুনে বড় হওয়া রাশেদ পরবর্তীতে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যোগ দেন।
বিগত সময়ে তিনি বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পড়াশুনার পাশাপাশি রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন তিনি। তারপর কর্মজীবনে প্রবেশ করেই নিজের মেধা ও মনন এবং কঠোর পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে একটি ভিত্তির উপর দাঁড়াতে সক্ষম হন। এক্ষেত্রে সততাই তার সবচেয়ে বড় পুঁজি হিসেবে কাজ করেছে।
সাকসেস গ্রুপের চেয়ারম্যান রাশিদুল ইসলাম রাশেদ একটি পরিচিত মুখ। যেই মুখে মানুষ ও মানবতাবোধের পরিচয় পাওয়া যায়। ইতোমধ্যে যার প্রমাণও পাওয়া গেছে। বিশেষ করে দেশব্যাপী করোনা ভাইরাসের বিস্তার প্রতিরোধ ও মোকাবেলায় নিজের এলাকায় অনন্য ভূমিকা পালন করার মাধ্যমে। বলতে গেছে ২৫ মার্চের পর বেশ কয়েকবার এলাকার নিম্ন আয়ের দরিদ্র মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়ে মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ফরদাবাদ সহ পাশ্ববর্তী এলাকার রিক্সা, অটোরিক্সা, ভ্যান চালক, কৃষক, জেলে, দিনমজুর থেকে শুরু করে নানা পেশার দরিদ্র মানুষগুলোর প্রতি দুহাত প্রসারিত করে দিয়েছেন।
সেই সাথে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার গুরুত্ব ও করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা জনসাধারণের মধ্যেও তুলে ধরেছেন। স্থানীয় এমপি ক্যাপ্টেন এ বি তাজুল ইসলামের পরামর্শ ও নির্দেশনা মোতাবেক সাধারণ মানুষের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী দিয়েছেন। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মধ্যে ফরদাবাদ এলাকাটি একসময় বিএনপি জামায়াত অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত ছিল। বিভিন্ন কৌশলে ও ঘাপটি মেরে থাকা জামায়াত শিবিরের অপপ্রচার রোধে সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন রাশিদুল ইসলাম রাশেদ।
এলাকার মানুষ যাতে কোন রকম অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হতে না পারে, সেদিকে তিনি খেয়াল রাখছেন। বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে জনগণকে সতর্ক করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় এমপি ক্যাপ্টেন এ বি তাজুল ইসলামের উন্নয়ন, দিকনির্দেশনা ও সরকারের সর্বশেষ পরিস্থিতি মানুষের মধ্যে তুলে ধরেছেন। বিশেষ করে করোনা ভাইরাসের দূর্যোগময় মুহুর্তে সরকারি বিধি নিষেধ মেনে চলার পাশাপাশি ঘরে অবস্থান করা নিম্ন আয়ের মানুষগুলোর খোঁজখবর রাখছেন।
নিজ দায়িত্বে অস্বচ্ছল মানুষের বাড়িতে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন। গত ২৮ মার্চ ও ১ এপ্রিলেও মরহুম শিশু মিয়া ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করেছিলেন। বর্তমানে পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় লিস্ট করে দরিদ্র পরিবারগুলো চাল, ডাল, আটাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী পাঠিয়ে দিচ্ছেন। এতে করে একধরনের আত্মতৃপ্তিও পান রাশিদুল ইসলাম। তার চিন্তা ভাবনা ও কল্পনায় শুধুই মানুষের কল্যাণে নিজেকে সম্পৃক্ত করা।
মানুষ ও মানবতার কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করার মধ্যেই সবচেয়ে বড় সুখ অনুভব করেন তিনি। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় করোনামুক্ত সুন্দর পৃথিবী দেখতে পাবেন এমনটাই প্রত্যাশা। সেই সাথে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনাকে বুকে লালন করে বাবা শিশু মাস্টারের দেখানো পথেই হেঁটে যাবেন, খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াবেন-এমন স্বপ্নের বিভোর রাশিদুল ইসলাম রাশেদ। সেই ভাবনা, কল্পনা ও চিন্তা থেকেই এলাকাবাসীর প্রতি অদৃশ্য মায়ার বন্ধনে রাশেদের একটাই আহবান-আপনারা ঘরে থাকুন, সরকারের নির্দেশ মেনে চলুন।