খুলনা বিভাগে করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেলে তাদের দাফন করছে যশোরের মণিরামপুরের খেদমতে খলক্ ফাউন্ডেশন।
প্রতিষ্ঠানটির প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবকরা এপর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ২০ জনের মরদেহ দাফন করেছে।
সব ধরণের সুরক্ষাবিধি মেনে খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া এলাকার মৃত ব্যক্তিদের দাফন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
গত শনিবারও যশোর শহরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর শিকার এক বেকারী ব্যবসায়ীর মরদেহ দাফন করেছে খেদমতে খলক্।
এদিন যশোর শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের মালেক বেকারীর সত্ত্বাধিকারী ও কাজীপাড়া নিবাসী সিরাজুল হকের (৭০) দাফন করেছে প্রতিষ্ঠানটির স্বেচ্ছাসেবীরা।
গত শুক্রবার রাত এগারটার দিকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশান ওয়ার্ডে চিকিসাধীন অবস্থায় ওই ব্যক্তির মারা যাওয়ার খবর পেয়ে তার দাফনের যাবতীয় দায়িত্ব তুলে নেন তারা।
মুফতি সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে ফাউন্ডেশনের ৮ সদস্যের একটি কাফন-দাফন টিম স্বাস্থ্যবিধি মেনে গোসল ও কাফন-দাফনের কাজ শেষ করেন।
এদিনের দাফন-কাফন টিমে অন্যদের মধ্যে ছিলেন মুফতি জুবায়ের, মাওলানা মুরাদ, মাওলানা ইউনুস, হাফেজ আল আমিন, মুহাদ্দিস আশিক, মুহাদ্দিস মুক্তাদীর ও মুহাদ্দিস মিজান।
জানা যায়, করোনা কিংবা এর উপসর্গ নিয়ে মারা গেলে তাদের দাফনের যাবতীয় দায়িত্ব স্বেচ্ছায় কাঁধে তুলে নিচ্ছে খেদমতে খালক ফাউন্ডেশন।
প্রতিষ্ঠানটির প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবকরা গোসল থেকে শুরু করে দাফন-কাফনের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করছেন।
খেদমতে খলক ফাউন্ডেশন সূত্র জানায়, প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব এ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থাও আছে।
করোনা কিংবা উপসর্গ নিয়ে কেউ মারা গেছেন। কিন্তু মৃত ব্যক্তির দাফন কাফনের জন্য কেউ এগিয়ে আসছে না।
এমন খবর পেলে মৃতের সমাহিত করার যাবতীয় দায়িত্ব কাধে তুলে নেয় প্রতিষ্ঠানটি। এজন্য প্রতিষ্ঠানের ০১৯১১-০১৯৭৪৪ এই নাম্বারে ফোন করে যোগাযোগ করতে হয়।
জানা গেছে, স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিধি সংক্রান্ত সব ধরণের গাইড লাইন অনুসরণ করে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতদের মরদেহ দাফন করে প্রতিষ্ঠানটি।
ব্যক্তিগত নিরাপত্তার সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়ে দাফন কাফনের সম কাজ সম্পন্ন করা হয়।
পিপিই পরে মৃতদেহ গ্রহন করেন খেদমতে খলকের দাফন-কাফন টিমের সদস্যরা।
এসময় দলের সবাই হ্যান্ড গ্লাভস ও সুরক্ষা গগলসসহ (চশমা) অন্যান্য সুরক্ষা উপকরণ ব্যবহার করেন।
খেদমতে খলক ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি মুফতি আজিমুদ্দিন জানিয়েছেন, করোনায় মৃতদের দাফন-কাফনের জন্য খুলনার ৬৩টি উপজেলায় তাদের ৭০টিম কাজ করছে। করোনা কিংবা উপসর্গ নিয়ে কেউ মারা গেছেন; এমন খবর পেলে তাদের প্রতিষ্ঠান স্বেচ্ছায় দাফনের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করেন।