ঝিনাইদহে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে কিশোর গ্যাং। সাইলেন্সার বিহীন মোটরবাইকে হাইস্পিডে শহরের ব্যস্ততম রাস্তায় থ্রীকোয়ার্টার করে লাউড হর্ণ বাজিয়ে রাইডিংসহ সহপাঠি ও জুনিয়র ছেলেদের রাগিং মারধরসহ নানা বিধ মাদকের আড্ডা এই গ্যাং গুলি।
রবিবার ঝিনাইদহের একটি ফেসবুক পেজ বিউটিফুল ঝিনাইদহতে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেই ভিডিও তে দেখা যায় ৫ কিশোর মিলে ১ কিশোরকে মারছে। এরা সবাই ঝিনাইদহ শহরের কাঞ্চননগর স্কুলের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র।
ভিডিও দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুণ….
https://web.facebook.com/watch/?v=308330003634157
ভিডিওতে যায় ত অদ্যাক্ষরের একজন কিশোর,অ অদ্যাক্ষরের এক কিশোর ,দ অদ্যাক্ষরের ১ কিশোর ,ত অদ্যাক্ষরের আরও ১ কিশোর , ব অদ্যাক্ষরের ১ কিশোর ও শ অদ্যাক্ষরের ১ কিশোর মিলে একজনকে মারছে। এরা সবাই কাঞ্চননগর মডেল স্কুলের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র। আমরা কিশোর বিবেচনায় তাদের ভবিষ্যত বিবেচনা করে নাম প্রকাশ করলাম না।
ভিডিওটি দেখার পর তাৎক্ষনিকভাবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল ) ৩ জন কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসেন।
তিনি জানান, এই বয়সের ছেলে-মেয়েরা না বুঝেই অনেক ভুল করে ফেলে। ঝিনাইদহে কিশোর গ্যাং কালচার গড়ে উঠতে দেওয়া হবে না। আমরা অভিভাবকদের সতর্কতার পাশাপাশি এই বয়সের সকল কিশোর ও শিক্ষার্থীদের সাবধান করে দিতে চাই। এদের এই প্রবণতায় হতে পারে মারাত্বক অপরাধ। যার কারণে এই বয়সী সকল ছেলেদের অভিভাবকদেরও সচেতন হওয়া উচিত। ঝিনাইদহ পুলিশ সব সময় কিশোর গ্যাং যাতে কোন অপরাধ সংগঠিত না করতে পারে সেই ব্যপারে জেলা পুলিশ ও ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশ সতর্ক আছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, এই বয়সের কিশোররা হটাত শারীরিক পরিবর্তনে নিজেদেরকে বড় মনে করে। শরীরে হরমোন ও আঙ্গিক পরিবর্তনের কারণে তাদের এই ভাবনা আসে। মানসিক দুরন্তপনা তৈরি হয়। বয়সের কারনে বাবা-মা থেকেও তারা অনেক দুরে থাকেন।বাবা-মা তাদেরকে সময় দিয়ে পাশে থাকলে এই সমস্যা অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব।
এদিকে এই ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর ঝিনাইদহের বিভিন্ন নাগরিক বৃন্দ উতকন্ঠা প্রকাশ করেছেন। ১ বছর আগে ঝিনাইদহের কালিকাপুর পাড়ার এক কিশোর এই কিশোর গ্যাং কালচারের নির্মম শিকার হয়।
ঝিনাইদহ শহরের ব্যাপারী পাড়া, হামদহ, চাকলা পাড়া, পবহাটিতেও কিশোরদের সংঘবদ্ধ আনাগোনা চোখে পড়ে। যারা রীতিমত বেপরোয়া চলাচল করে। ইউটিউব টিকটক ভিডিও দেখে সেই আদলে নিজেদেরকে ভাবতে অভ্যস্থ হয়ে পড়ছে এই কিশোররা। এদের বাবা-মা ছোট খাটো ব্যবসা বা চাকরী করে সংসার চালালে তাদের বায়নায় কিনে দিতে হচ্ছে মোটরসাইকেল বা দামি মোবাইল ফোন।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, আমরা এই বিষয়ে শহরের বাবা-মায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা শিক্ষার দিকে মনোযোগ দিক। খেলাধুলা ও পড়াশোনা করে সময় কাটাক। কোন বাজে নেশা ও কালচার যেন তাদেরকে আসক্ত না করতে পারে।