বাঘারপাড়ায় ইউএনওর হস্তক্ষেপে ১৩ বছরের এক কিশোরীর বিয়ে বন্ধ হয়েছে।
এ ঘটনায় বরসহ ছয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সাজাপ্রাপ্তদের বুধবার জেলহাজতে পাঠানো হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে বাঘারপাড়া উপজেলার বাসুয়াড়ী ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামে।
বর রাজু হাসান পাশের পাকেরআলী গ্রামের শাহীন দফাদারের ছেলে। পেশায় ইজিবাইক চালক।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত দশটার কিছু সময় পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানিয়া আফরোজের কাছে খবর আসে বাসুয়াড়ী ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামে বাল্যবিয়ে হচ্ছে
খবর পেয়ে ইউএনও ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করেন।
এসময় বর ও বাল্যবিয়েতে সহযোগিতা করার অভিযোগে ছয়জনকে আটক করে ইউএনও’র কার্যালয়ে আনা হয়।
সেখানে আদালত বসিয়ে বাল্যবিয়ের আয়োজন করার অপরাধে বর উপজেলার বাসুয়াড়ী গ্রামের শাহীন দফাদারের ছেলে রাজু হাসানকে ছয়মাস জেল
বরের সহযোগী একই ইউনিয়নের ওয়াদীপুর গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে নওশের আলীকে তিনদিন, শ্রীরামপুর গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে সবুজ হোসেনকে সাতদিন, পাকেরআলী গ্রামের হোসেন দফাদারের ছেলে সাহেব আলীকে দশদিন, একই গ্রামের শমসের দফাদারের ছেলে শাহ আলমকে সাতদিন এবং সামছুর রহমানের ছেলে সাহাবুর রহমানকে তিনদিনের জেল দেওয়া হয়।
বাঘারপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া আফরোজ বলেন, ‘ওই এলাকায় বাল্য বিয়ের সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই এবং বিয়ে বন্ধ করি।
অষ্টম শ্রেণীর ওই ছাত্রীর সাথে কথা বলে জেনেছি তাকে জোর করে বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল।
সে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চায়। তাকে সাহস দিয়েছি। আশ্বাস দিয়েছি পড়াশোনা চালিয়ে নেওয়াসহ সবধরনের সহযোগিতা করার।
স্থানীয় এক ইউপি সদস্যকে খোঁজ-খবর রাখতে বলেছি।’বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আল মামুন জানান, বুধবারে আসামিদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।