যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিন করে জাপান প্রবাসীরা।
আজ (২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, বুধবার) সকালে ভাষা শহিদদের স্মরণে টোকিওর তোশিমা সিটির ইকেবুকুরো নিশিগুচি পার্কে স্থাপিত শহিদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
প্রথমে জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে দূতাবাসের কর্মকর্তারা ও তোশিমা সিটির ডেপুটি মেয়র কাতসুমি আমাগাই শহিদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে জাপান প্রবাসী বাংলাদেশি ও অন্যান্য অতিথিরা প্রভাতফেরীর মাধ্যমে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।
অনুষ্ঠানের পরবর্তী অংশে দূতাবাস প্রাঙ্গনে রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদের আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন।
এসময় উপস্থিত দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আগত অতিথিরা সম্মিলিত কন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এরপর ভাষা শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং তাঁদের আত্মার মাগফিরাত ও বাংলাদেশের সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
পরে মহান শহিদ দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ইউনেস্কোর ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল থেকে প্রাপ্ত বাণী পাঠ করা হয়।
রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ স্বাগত বক্তব্যে মহান ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তিনি ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং ভাষা আন্দোলনের পটভূমি ও তাৎপর্য তুলে ধরেন। রাষ্ট্রদূত অমর একুশের চেতনাকে ধারণ করে মাতৃভাষা ও নিজস্ব সংস্কৃতির বিকাশসহ সকল জাতিগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় এগিয়ে আসার জন্য উপস্থিত সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে উম্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জাপান বাংলাদেশ সোসাইটির প্রেসিডেন্ট মাসাতো ওয়াতানাবে, সাবেক জেওসিভি স্বেচ্ছাসেবী ওশিমা মুতসুকো ও জাপান প্রবাসী বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতারা। পরে ভাষা আন্দোলন ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আব্দুল্লাহ আল মামুন/টোকিও