1. mdabirhossain.6894@gmail.com : Abir Hossain : Abir Hossain
  2. info@diprohor.com : admin :
  3. bappi.kusht@gmail.com : Bappi Hossain : Bappi Hossain
  4. biplob.ice@gmail.com : Md Biplob Hossain : Md Biplob Hossain
  5. enamulkhanbd@yahoo.com : Enamul Khan : Enamul Khan
  6. mahedi988.bd@gmail.com : Mahedi Hasan : Mahedi Hasan
  7. mamunjp007@gmail.com : mamunjp007 :
  8. media.mrp24@gmail.com : এস এইচ এম মামুন : এস এইচ এম মামুন
  9. rakib.jnu.s6@gmail.com : Rakibul Islam : Rakibul Islam
  10. mdraselali95@gmail.com : Rasel Ali : Rasel Ali
  11. rockyrisul@gmail.com : Rocky Risul : Rocky Risul
  12. rouf4711@gmail.com : আব্দুর রউফ : আব্দুর রউফ
  13. sohan.acct@gmail.com : Sohanur Rahman : Sohanur Rahman
বাংলাদেশ ও কানাডা: দুই দেশের অর্থনীতির মধ্যে পার্থক্য কতটা? | দ্বিপ্রহর ডট কম
মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১১:০৫ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশ ও কানাডা: দুই দেশের অর্থনীতির মধ্যে পার্থক্য কতটা?

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম: মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০১৯
  • ৮৮৯ বার পঠিত
বাংলাদেশ ও কানাডা: দুই দেশের অর্থনীতির মধ্যে পার্থক্য কতটা?

বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি অর্জনের দিক দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি কানাডা ও থাইল্যান্ডের সমান বলে সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল যে মন্তব্য করেছে, তা নিয়ে এখন বেশ আলোচনা চলছে।

মন্ত্রী আইএমএফ-এর একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে প্রকাশিত ব্লুমবার্গের একটি প্রতিবেদনের সূত্র ধরে এই তথ্য জানিয়েছিলেন।

কানাডা বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলোর একটি – এটি জি-৭ এবং অর্গানাজেশন অব ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি)-র সদস্য।

ফলে বিশ্ব অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে কানাডার সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনার বিষয়টি কৌতুহল সৃষ্টি করেছে।

বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত দেশের একটি কানাডার সঙ্গে উন্নয়নশীল দেশ বাংলাদেশের অর্থনীতির পার্থক্য আসলে কতটা?

মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি)

একটি দেশের উৎপাদিত পণ্য বা সেবার মোট বাজার মূল্য হলো মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি। মানুষের ভোগ ব্যয়, বিনিয়োগ ব্যয় ও সরকারি ব্যয় মিলে জিডিপি নির্ধারিত হয়। রপ্তানি থেকে আমদানি বিয়োগ করে যা থাকবে, তাও এখানে যোগ হয়।

বিশ্বব্যাংকের হিসাবে ২০১৭ সালে কানাডার মোট দেশজ উৎপাদন ছিল ১.৬৪৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে বাংলাদেশের জিডিপি ছিল মাত্র ২৪৯.৭২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

মাথাপিছু মোট জাতীয় উৎপাদন (জিডিপি পার ক্যাপিটা)

বিশ্বব্যাংকের ২০১৭ সালের হিসাবে কানাডার মাথাপিছু মোট দেশজ উৎপাদন ৪৪,৮৭০.৮ মার্কিন ডলার হলেও, বাংলাদেশের এই আয় ১,৫১৬.৫ মার্কিন ডলার।

মাথাপিছু মোট জাতীয় আয়

মোট দেশজ উৎপাদনের সঙ্গে বিদেশে অর্জিত অর্থ যোগ করার পর তা থেকে অন্য দেশে চলে যাওয়া অর্থ বাদ দিলে যে ফলাফল পাওয়া যায়, তা-ই মোট জাতীয় আয়।

যেমন বাংলাদেশিরা বিদেশে কাজ করে যে অর্থ দেশে পাঠান, তার সঙ্গে যোগ হবে মোট দেশজ উৎপাদন। সেটি থেকে বিদেশি নাগরিকরা বাংলাদেশে থেকে যে অর্থ বের করে নিয়ে যান, তা বাদ দিলেই মোট জাতীয় আয় পাওয়া যাবে।

কানাডার ২০১৭ সালে মাথাপিছু মোট জাতীয় আয় ৪২,৭৯০ মার্কিন ডলার, যেখানে বাংলাদেশের আয় ১,৪৭০ মার্কিন ডলার।

গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি
বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের বড় অংশটি আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে

প্রবৃদ্ধির হার

বিশ্বব্যাংকের হিসাবে, ২০১৭ সালে বাংলাদেশের বার্ষিক মোট জাতীয় উৎপাদনের প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৭.৩ শতাংশ। তবে একই অর্থবছরে কানাডার প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৩ শতাংশ।

তবে অর্থনীতির আকারে বিশাল পার্থক্য থাকলেও বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখার দিক থেকে একই তালে রয়েছে বাংলাদেশ ও কানাডা।

ক্রয় ক্ষমতার বিবেচনায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের প্রক্ষেপণে বলা হয়েছে, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হবে ৩.৬ শতাংশ। আর তাতে বাংলাদেশ ও কানাডা সমান অবদান রাখবে – যা হবে ০.৯ শতাংশ।

২০২৪ সাল পর্যন্ত বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশের এই অবদান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আইএমএফ।

বাংলাদেশের বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ বা সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, এই হার আসলে তেমন কোন অর্থ বহন করে না।

বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, ”কারণ উন্নত দেশের প্রবৃদ্ধির হার এমনিতেই কম হবে, যেহেতু তারা অনেক উন্নতি করে ফেলেছে। কিন্তু স্বাভাবিকভাবে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে প্রবৃদ্ধির হার বেশি হবে।”

তিনি আরও বলেন, ”জনসংখ্যার দিক থেকে বিবেচনা করলে সেটিও আসলে কিছুই না। যেমন বাংলাদেশের জনসংখ্যা কানাডার পাঁচগুণ বেশি, সেহেতু প্রবৃদ্ধিও পাঁচগুণ বেশি হওয়া উচিত – তাতো হয়নি।”

কানাডার একটি শহর এলাকা
Iবাংলাদেশে মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় এক-চতুর্থাংশ মানুষ দারিদ্র সীমার নীচে থাকলেও, কানাডায় এই হার অত্যন্ত কম বলে মনে করা হয়

দারিদ্র সীমার নীচে থাকা মানুষের সংখ্যা হার

২০১৬ সালের তথ্য উল্লেখ করে বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার ২৪.৩ শতাংশ মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করছে। অর্থাৎ মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় এক-চতুর্থাংশ মানুষই দারিদ্র সীমার নিচে রয়েছে।

কিন্তু কানাডায় দারিদ্র সীমার নিচে থাকা মানুষের কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

মোট জনসংখ্যা

মোট জনসংখ্যার বিচারে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক পিছিয়ে কানাডা।

বাংলাদেশের জনসংখ্যা যেখানে ১৬ কোটি ৪৬ লাখ, সেখানে কানাডার জনসংখ্যা মাত্র ৩ কোটি ৬৭ লাখ।

কানাডার একজন বাসিন্দার গড় আয়ু ৮২ বছর, যেখানে বাংলাদেশের একজন মানুষের গড় আয়ু প্রায় ৭৩ বছর।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত দ্বিপ্রহর ডট কম-২০১৭-২০২০
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazardiprohor11