স্বাচিপ কখনোই চাকুরীর নিশ্চয়তা হতে পারে না, এটা কিছু দুষ্ট লোকদের সৃষ্ট মতবাদ, পেশাতে নিজের অযোগ্যতা ঢাকার জন্য যাদের রাজনৈতিক আদর্শ শুধুমাত্র নিজের উন্নতি, তা যত নোংরা ভাবেই হোক। যাদের সংগঠন করার মূল নীতি, নিজের উন্নতি।
ডাক্তার সমাজে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং শেখ হাসিনার প্রতি অবিচল আস্থার সমর্থকই সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল সবসময়। আমাদের সময়কার (২০০১ -২০০৯) ডাক্তার সমাজ রাজপথে সময় দিয়েছে উল্লেখ করার মতো – মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের সাথে যে অবিচার হয়েছে তার প্রতিবাদে, চিকিৎসাপেশাকে রাজনীতিকরণের প্রতিবাদে। দু:খজনক হলেও সত্যি, আমরা পেশাকে রাজনীতিকরণে সকল রেকর্ড ভেঙেছি।
কিছু চিকিৎসক আছে, যারা হয়তো আওয়ামীলীগকে ভালবাসে কিন্তু “নিজেদের উন্নতিই আওয়ামীলীগের স্বার্থ”, এই ভুল দর্শন প্রতিষ্ঠা করে চিকিৎসা পেশাকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক পেশাতে পরিণত করেছে। বিরোধীদলে থাকার সময় যেসব চিকিৎসকরা রাজপথে ছিল, তাদের বেশির ভাগই আজ নিশ্চুপ অথবা নিরুপায়। কারণ চিকিৎসা তাদের পেশা, রাজনীতি ছিল মনের, বিবেকের। আজ তারা বিলুপ্তপ্রায় রাজনৈতিক চিকিৎসকদের কাছে। নিজের উন্নতির জন্য বিভিন্ন লীগের নেতাদের কাছে গিয়ে কুর্নিস, কোন সুস্থ অথবা মেধাবী চিকিৎসকের দ্বারা সম্ভম না।
নতুন ডাক্তাররা আজ প্রতিবাদ করে রাজনৈতিকভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত না হবার কারণে, মেধা ভিত্তিক নিয়োগের জন্য না। রাজনীতিসর্বস্ব চিকিৎসকদের সফলতা এখানেই।
প্রতিবাদ হোক তাদের বিরুদ্ধে যারা এই সংগঠন ব্যবহার করে সুবিধা নিয়েছে এবং নিচ্ছে । ওইসব চিকিৎসক শিক্ষকদের বিরুদ্ধে, যারা ছাত্রদের সাথে রাজনীতি করে। যারা নিজের দলভারীর জন্য প্রশ্নপত্র দেয় ছাত্রদের, ক্লাস না নিয়ে রুমে বসে ছাত্রদের রাজনীতিক সবক দেয়, যারা রাজনীতিই পরীক্ষা পাশের যোগ্যতা, এই দর্শন চালু করেছে।
প্রতিবাদ হোক তাদের বিরুদ্ধে, যারা চাকরি/প্রমোশন রাজনতিকভাবে নিয়ে, রাজনীতিই মেধা প্রতিষ্ঠিত করে, এখন বলে তুমি মেধাহীন।
প্রতিবাদ হোক তাদের বিরুদ্ধে, যাদের চাটুকারি/তেলবাজি /রাজনৈতিক বিদ্যার জন্য চিকিৎসক আজ দেবদা থেকে বিবর্তিত হয়ে কসাই উপাধি ধারণ করেছে জনসাধারণের কাছে।
ছাত্রলীগ করা ছেলেদের প্রতিবাদ হোক মেধাভিত্তিক চিকিৎসাসমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য।
চিকিৎসাপেশাতে প্রথম যোগ্যতা মেধা হলেই স্বাচিপের সদস্যরা উপকৃত হবে, দৃঢ়তার সাথে বলতে পারি, রাজনৈতিক নিয়োগের আশ্বাসই অকৃতকার্যর মূল কারণ।
দেশের জন্য মেধাবী, মানবিক চিকিৎসক জরুরি, রাজনৈতিক চিকিৎসক না।
আর যাই হোক, পূর্বের ভুল ভবিষ্যৎ ভুলের বৈধতা হতে পারে না।
ড আব্দুল্লাহ আল মাসুদ খান
জাপান প্রবাসী