1. mdabirhossain.6894@gmail.com : Abir Hossain : Abir Hossain
  2. info@diprohor.com : admin :
  3. bappi.kusht@gmail.com : Bappi Hossain : Bappi Hossain
  4. biplob.ice@gmail.com : Md Biplob Hossain : Md Biplob Hossain
  5. mahedi988.bd@gmail.com : Mahedi Hasan : Mahedi Hasan
  6. mamunjp007@gmail.com : mamunjp007 :
  7. media.mrp24@gmail.com : এস এইচ এম মামুন : এস এইচ এম মামুন
  8. rakib.jnu.s6@gmail.com : Rakibul Islam : Rakibul Islam
  9. mdraselali95@gmail.com : Rasel Ali : Rasel Ali
  10. rockyrisul@gmail.com : Rocky Risul : Rocky Risul
  11. rouf4711@gmail.com : আব্দুর রউফ : আব্দুর রউফ
  12. sohan.acct@gmail.com : Sohanur Rahman : Sohanur Rahman
কাওয়াসাকি’র কান্না! (ছোট গল্প) - শাজাহান সিরাজ | দ্বিপ্রহর ডট কম
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১০ পূর্বাহ্ন

কাওয়াসাকি’র কান্না! (ছোট গল্প) – শাজাহান সিরাজ

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম: বৃহস্পতিবার, ৩০ মে, ২০১৯
  • ১০৬৬ বার পঠিত
কাওয়াসাকি’র কান্না!

কাঁদতে কাঁদতে আমার হৃদয় পাথর! ভালোবাসাহীন! আমার পাষান হাতে রক্ত দেখে, জানি তোমার সবাই আমাকে আজ চেন, ঘৃণা কররে! আমি অপরাধী- খুন করেছি! খুন হয়েছি ৫১ বছর!

সবাই আমাকে খুন করেছো! ভালোবাসোনি! ভেবেছ- আমি তোমাদের কেউ নই, এক অপ্রত‍্যাশিত ঝামেলা! একাকিত্বে আমার হৃদয় ছেলেবেলা থেকে ক্ষতবিক্ষত! কেউ আমার সঙ্গে একটু কথা বলনি, কেউ আমার কথা শুননি!

এই দুনিয়ায় আমার কেউ নেই! মাতা স্কুলে যাবার আগে কখনো পোষাক পড়িয়ে দেয়নি! বাবা কখনো আমাকে আইক্রিম কিনে দেয়নি।

পিতা-মাতা আমাকে ত‍্যাগ করলো! তাদের সঙ্গে আমার একটি ছবিও নেই! বড় হলাম দাদীর ঘরে। দাদা-দাদীও কখনো আমার সঙ্গে ছবি তোলেনি। অথচ চাচা-জেঠার ঘরে, পিসতুদের হাসিভরা কত ছবি। তাদের জীবনে কত সুখ, কত ভালোবাসা! অথচ কেউ আমার সঙ্গে প্রাণ খুলে হাসতো না! সবাই আমাদের পরাজিত দেখে খুশী হতো!

দাদী আমাকে ভাত দিয়েছে ঠিকই; কিন্ত প্রতিটি দানা’র জন‍্য, প্রতিদিন খোটা খেয়েছি। আমি যেন ভাত খাইনি কখনো, পাথর খেয়েছি! তার দেয়া কাপড়কে আমার মনেহতো, বন‍্য সরীসৃপের চামড়ার তৈরী, আদরহীন!

বাবা-মা মিথ‍্যা আবেগে, যৌনক্ষুধায় উদ্রান্ত হয়ে সংসার ভাঙ্গলো! আমাকে ত‍্যাগ করলো! ছেলের কোন খবর নেয়নি কেউ কোন দিন!
– কি খাই? কি পরি? কোথায় থাকি? কি আমার ভবিষৎ? কখনো তারা ভাবেনি। অদৃশ‍্যে মিশে গেছে তারা!

৫১ বছরের প্রতিটি দিন কেটেছে আমার অবচেতনে, অমনোযোগে। বাঁচার প্রতি আগ্রহের আঙ্কুরও গঁজাতে পারেনি হৃদয়ে। পড়তে চেয়েছিলাম – কারিতাসে! দিদিমা খোটা দিলেন,
– কে তোর হাতীর খরচ দিবে, হারামজাদা?

চাচাতো ভাই-বোনেরা কারিতাস স্কুলে গেল! আমি গেলাম সাধারণ স্কুলে! প্রতিদিন পিসতুদের সাথী হয়ে স্কুলে যাই! পথে আমি বিভক্ত হয়ে চলে যাই – প্রাইমারীতে আর ওরা কারিতাস! আমিও তো ওদের মতো হতে চেয়েছিলাম!

আমার হৃদরের হাহাকার, ভালোবাসার পিপাসা, বেঁচে থাকার চিৎকার, বড় হবার আগ্রহ কেউ শুনেনি কোনদিন! ঐ সুন্দুর স্কুল আমাকে প্রতিদিন রুদ্র করেছে, কুঁড়ে কুঁড়ে খেয়েছে! জাগিয়েছে হিংসার হুঙ্কার, না পাওয়ার কষ্ট! আমি ঐ স্কুলে যেতে পারিনি, কাউকে যেতে দিব না!
– এই দেখ, আমার হাতে- আমার রক্ত! কেউ আমাকে থামাতে পারবি না!

এ বলে কাঁদতে কাঁদতে, ছুড়ি চালিয়ে শিক্ষার্থীদের আঘাত করে, ছেলেটি মাটি লুটিয়ে পড়লো। হাত থেকে পড়ে গেলে ধারালো চাকু,
– আমার মতো, কোন সন্তান যেন পিতা-মাতা ছাড়া বড় না হয়! কারো হৃদয় যেন ভালোবাসাহীন না থাকে! কারো হৃদয়ে যেন পশুর হিংস্রতা জেগে না উঠে!

বি.দ্র.: কাওয়াসাকি অঘটনের খলনায়ক ‘রয়োচি আইওয়াসাকি’র কাল্পনিক ভাষ‍্য!

—-
জাপান

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত দ্বিপ্রহর ডট কম-২০১৭-২০২০
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazardiprohor11