শহীদ ডাক্তার মিলনের রক্তই স্বৈরাচারের বিদায় ঘণ্টা বাজিয়েছিল। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম মেধার জন্য তরুণ চিকিৎসদের আন্দোলন এবং মুজিব আদর্শের চিকিৎসকের রক্তক্ষরণ, তালিকা প্রথার সত্যিকারের বিলুপ্তি ঘটাতে পারবে কি!!
নেত্রী দেশের সকল খবর রাখেন, কিন্তু বিশ্বাসের দেয়ালে বন্দি। বিএসএমএমউ’র নিয়োগ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা সারা বাংলায় আওয়ামীলীগের মোস্তাকদের উত্থান আর তাজউদ্দীনদের পরাজয়ের ইঙ্গিতই বহন করে।
নেত্রীকে হয়ত বিভিন্ন মতের স্বাচিপ নেতাদের প্রস্তুতকৃত ভিন্ন ভিন্ন তালিকা দেখিয়ে এবং ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের আন্দোলনে সমর্থনকে পুঁজি করে, এ কথাই বুজানো হয়েছে যে, জলের মত স্বচ্ছ পরীক্ষার বিরুদ্ধে এই আন্দোলন, তালিকা ভিত্তিক নিয়োগের জন্য। ক্ষমতাবান লোকদের আত্মীয়দের চাকরীর তালিকা বা বাণিজ্য তালিকা বাস্তবায়নের জন্য সুন্দর প্লাটফর্মই বটে।
তালিকা প্রস্তুত প্রথার জনক কখনোই চাকুরীপ্রার্থীরা না, চাকুরীদাতারা। তারা নিজেরা উচ্চপদে অধিষ্ঠিত হয় তালিকার জোরে অথবা স্বাচিপ নেতাদের অন্তর্কোন্দলে বা টাকার জোরে। উচ্চপদস্থ হয়ে সকলের (জনগনের বা দলীয় আদর্শের) স্বাস্থ্যের বারোটা বাজিয়ে নিজেকে স্বাস্থ্যবান করে তালিকাবাজরা। চিকিৎসাপেশাকে রাজনৈতিক পেশা বানানোর জন্য এই চেষ্টা যৌবনে ছাত্রলীগ করে আসা চিকিৎসকদের না, চামছা অথবা চাটুকর বা রাজনীতি সর্বস্ব মুষ্টিমেয় কিছু চিকিৎসকদের।
স্বাচিপ এর তরুণ চিকিৎসকরা, ক্ষমতাবান রাজনৈতিক চিকিৎসকদের ক্ষমতার খপ্পরে পরে নিজেদের তালিকার চক্করে আবদ্ধ করতে বাধ্য হয় অনেকটা। রাজনীতিসর্বস্ব সিনিয়র যখন রাজনৈতিক বিবেচনায় মেধা/যোগ্যতা কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে উচ্চ পদে আসীন হয়, জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে হয়, জুনিয়র তখন বই ছেড়ে তালিকাতে নাম উঠানোতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করে!!!
মুজিব আদর্শের যেসব ডাক্তাররা বিরোধী দলের সময় রাজপথে সময় দিয়েছে, তারা আজ নিজের প্রফেশনাল আত্মমর্যাদা নিয়ে কোন রকমে টিকে আছে, এই তালিকাবাজদের বাজারে।
স্বাধীন বাংলাদেশে এই প্রথম মেডিকাল/ডেন্টালের দুর্দিনের ছাত্রনেতারা মেধার জন্য আন্দোলনের সূত্রপাত করেছ, মেডিকাল প্রফেশনে আওয়ামীলীগ সমর্থক নিধনের নীলনকশার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে, রক্ত ঝড়িয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন “তালিকা দিয়ে চাকুরী হবে না”।
চলমান এই আন্দোলনের মধ্য দিয়েই মুজিব আদর্শের তরুণ চিকিৎসকরা ক্ষমতাবানদের আত্মীয়স্বজনের তালিকা বাস্তবায়নের জন্য অনুষ্ঠিত পরীক্ষা বাতিল করে মেধাকে মুক্ত করে বঙ্গবন্ধুর কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশের কক্ষপথে মেডিকেলবা ডেন্টাল প্রফেশনকে ফিরিয়ে এনে সোনার বাংলার স্বপ্ন পূরণে নেত্রীর হাতকে সত্যিকার অর্থে শক্তিশালী করবে।
মেধা মুক্তি পাক।
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
জয় শেখ হাসিনা
ডাক্তার টুটুল
জাপান প্রবাসী