বঙ্গবন্ধু তথা মুক্তিযুদ্ধ আমাদের সময়ে নিষিদ্ধ অথবা নিয়ন্ত্রিত ছিল, মুক্তিযুদ্ধর ইতিহাস জানতে পরিবারই ভরসা ছিল। “এ লিগ্যাসি অফ ব্লাড” পড়েছি ১৯৯৩ অথবা ১৯৯৪ সালে ঢাকা আসার পর, নিষিদ্ধ বই ছিল এটা তখন।
বর্তমানে ডিজিটাল যুগে ইতিহাস উন্মুক্ত। নিজের প্রমোশনের জন্য মেডিকেল বা ডেন্টালে পড়তে আসা মেধাবী নবীন শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধ অথবা বঙ্গবন্ধু বা শেখ হাসিনার আদর্শের কথা বলে ক্লাস না নেবার ভণ্ডামি বন্ধ হোক।
মেডিকেল বা ডেন্টাল পেশার শিক্ষকরা যখন শুধুমাত্র রাজনৈতিক বিবেচনায় জেষ্ঠ্যতা বা অভিজ্ঞতাকে পদদলিত করে, চলতি দায়িত্বে প্রফেসর হয়ে প্রফেসর কে ল্যাং মারে, ছাত্র তখন স্যারের (ষাঁড়ের) বীরত্বে রাজনীতিকেই ধর্মগ্রন্থ মানে। শিক্ষক যখন প্রমোশনের সময় সারাদিন জয় বাংলা আর নির্বাচনের সময় সর্বদলীয় সাজে, ছাত্র তখন স্যারের (ষাঁড়ের) বহুমুখী প্রতিভা দেখে রাখাল রাজা বলে ডাকে। শিক্ষক যখন নিজের বিষয় ভিত্তিক অজ্ঞতা ঢাকতে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতি নিয়ে কথা বলে, ছাত্র তখন স্যার (ষাঁড়ের) কে সক্রেটিস ভাবে। শিক্ষক যখন ছাত্রদের নিয়ে মন্ত্রী সাহেবের বাসায় যায়, ছাত্র তখন স্যার (ষাঁড়ের) কে মুঘল এ আযম ভাবে।
দেশের সবচেয়ে মেধাবী ছেলেগুলো মেডিকাল বা ডেন্টালে ভর্তি হয় আর স্যাররা (ষাঁড়রা) শুধুমাত্র নিজের প্রমোশন অথবা ক্ষমতার জন্য চিকিৎসা-বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে আসা তরুণদের রাজনৈতিক জ্ঞান বিতরণ করেন এবং ভবিষ্যৎ নষ্টের পূর্ণ ব্যবস্থা করেন। মুখে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, গায়ে দেন মুজিব কোট আর শিক্ষক হয়ে নষ্ট করেন ছাত্রের জীবন।
আপনারাই মহান এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ। আপনারাই দেশের প্রকৃত স্যার (ষাঁড়)। ভালো করে আয়না দেখেন, নিজের উচ্চকাঙ্খার জন্য যে সব শিক্ষার্থীর জীবন এবং পরিবার ধ্বংস করেছেন এবং করছেন, তাদের মুখ ভেসে উঠবে। মেডিকেল বা ডেন্টাল কলেজগুলোতে শিক্ষকের ছাত্রের সাথে রাজনীতি নিষিদ্ধ হোক। মেধা মুক্তি পাক তালিকা নিপাত যাক।
জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু।। জয় শেখ হাসিনা।।।
ডাক্তার টুটুল
জাপান প্রবাসী