1. mdabirhossain.6894@gmail.com : Abir Hossain : Abir Hossain
  2. info@diprohor.com : admin :
  3. bappi.kusht@gmail.com : Bappi Hossain : Bappi Hossain
  4. biplob.ice@gmail.com : Md Biplob Hossain : Md Biplob Hossain
  5. mahedi988.bd@gmail.com : Mahedi Hasan : Mahedi Hasan
  6. mamunjp007@gmail.com : mamunjp007 :
  7. media.mrp24@gmail.com : এস এইচ এম মামুন : এস এইচ এম মামুন
  8. rakib.jnu.s6@gmail.com : Rakibul Islam : Rakibul Islam
  9. mdraselali95@gmail.com : Rasel Ali : Rasel Ali
  10. rockyrisul@gmail.com : Rocky Risul : Rocky Risul
  11. rouf4711@gmail.com : আব্দুর রউফ : আব্দুর রউফ
  12. sohan.acct@gmail.com : Sohanur Rahman : Sohanur Rahman
নুহাশ পল্লীতে একদিন (পর্ব-১৯) : পি. আর. প্ল্যাসিড | দ্বিপ্রহর ডট কম
মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ০৬:৪০ অপরাহ্ন

নুহাশ পল্লীতে একদিন (পর্ব-১৯) : পি. আর. প্ল্যাসিড

পি. আর. প্ল্যাসিড
  • আপডেট টাইম: বৃহস্পতিবার, ২ এপ্রিল, ২০২০
  • ৪৯৭ বার পঠিত

ইমরান মনিপুরিপাড়া তার বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে সন্ধ্যার আগেই ইন্দিরা রোড তার বাসায় চলে যায়। গিয়ে তার মার সাথে সারাদিন কোথায় ছিল, কি করেছে তা গল্প করে। ইমরানের মা গল্প শুনে বলেন, – তুই যাবি আগে বললে আমিও যেতাম। অনেকদিন হয় মারীয়াদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ হয় না। একটা উছিলায় গিয়ে দেখা করে আসতে পারতাম।


সবাই মিলে নুহাশ পল্লীতে বেড়াতে যাবার পরিকল্পনার কথা বলে মায়ের আগ্রহের গোড়ায় পানি ঢালে ইমরান। শোনার সাথে সাথে অনেকটা যেন মরা গাছে পানি দিয়ে সতেজ করার মত সতেজ করে তোলে ইমরান তার মাকে । ইমরানের মা বলেন, – আমার অনেক দিনের ইচ্ছে স্যারের এই নুহাশ পল্লী দেখতে যাবার। শুনেছি অনেক সুন্দর করেছে। এতদূরে করলেও মানুষ নাকী দল বেধে দেখতে বা ঘুরতে যায়। তাও আবার টিকিট কেটে ঢুকতে হয় শুনেছি। স্যার জীবিত থাকলে এটা এতদিনে জমজমাট ব্যবসা কেন্দ্র করে ফেলতেন। এখন ততটা যতœ হয় বলে মনে হয় না।আমার ফোন নম্বর দিয়ে আসছিস?

না মা, তোমাকে আংকেলের নাম্বার দেই। তুমি কথা বল। আজ না মারীয়াকে দেখতে এসেছিল। ছেলের বাপ পুলিশে চাকরী করেন আর ছেলে চীনে পড়া লেখা করে।

তুই কিছু বলিসনি ওদের।

আমি কি বলবো?

সেকি? আমি আর তোর বাবা তো তোর জন্য মারীয়ার কথা বলে রেখেছিলাম।

দূর, কি বলো মা। মারীয়ারা কি আমাদের সাথে আত্মীয়তা করবে? এমনিতে সম্পর্ক আছে সেটা ভিন্ন বিষয়। তাই বলে—। ইমরান ভিতরে ভিতরে নিজেকে লাজুক মনে করে। তা মায়ের সামনে প্রকাশ করে না।
ইমরান মুখ ফুটে তার মার সাথে মারীয়ার বিষয়ে কথা বললেও তার ভিতর কোন জড়তা নেই। বন্ধুর মতই মা ছেলের কথা বলা। – তোর মিরাজ আংকেল যখন বিদেশে তোর বাবার সাথে থাকেন তখনই তো আমার কথা পাকা করে রেখেছি।

এতদিনের কথা কি আর মনে রেখেছে? এর মধ্যে তোমরা তাদের সাথে তো যোগাযোগই করো নি। তাছাড়া মিরাজ আংকেল এখন কত বড় ব্যবসায়ী। ও আর হ্যাঁ, মারীয়ার যে ছোট একটা ভাই আছে, তুমি তা জান?


ইমরানের মা চুপ হয়ে যায়। মুখে কোন কথা নেই তার। হঠাৎ চুপ করে থাকতে দেখে ইমরান বলে, – আমি তো ভেবেছিলাম কে না কে? পরে বলল মারীয়ারই ভাই। তখন মারীয়া আর নাহিয়ানের সাথে ওর বয়সের তারতম্য দেখে আমি অবাক হলাম। বলেই মায়ের দিকে তাকিয়ে হাসে। হাসির মধ্যে তার রসিকতা উথলে পরছিল। আবার প্রশ্ন করে, – এখন কথা বলতে চাও তুমি মিরাজ আংকেলের সাথে?

ফোন দে, দেখি কথা বলে কি না।


ইমরান উঠে টেবিলের উপর থেকে তার মোবাইল এনে ফোন করে তার মিরাজ আংকেলকে। ফোন করার পর রিং হতেই মোবাইল ফোন তার মায়ের হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলে, – এই নেও, রিং হচ্ছে। ধরলে কথা বল। ফোন তার মায়ের হাতে দিয়ে চুপ করে দেখে তার মা এতদিন পর ফোনে কথা বলার সময় মারীয়ার প্রসঙ্গে কোন কথা বলে কি না।
ফোন ধরেন তার মিরাজ আংকেল। অপর প্রান্তে ফোন রিসিভ করে হ্যাঁলো বলতেই ইমরানের মা বলেন, – হ্যাঁলো ভাই, কেমন আছেন? মেয়ে বড় হয়েছে তাই গোপনে বিয়ে দেবার ব্যবস্থা করছেন শুনেছি, তা কি ব্যাপার?

কে ভাবী? কেমন আছেন? আরে আপনারা তো ভুলেই গেছেন। ভাই দেশে এসে ঘুরে গেলো অথচ আমাদের কোন খোঁজ খবর নিলো না, কারণ কি?

আপনার ভাই দেশে এসে ঘুরে গেলো আর আপনি দেশে থেকেও তো আমাদের খবর নেন না। সেটারই বা কারন কি?

তা ভাবী কেমন আছেন?

এখন ফোন করাতে কেমন আছি? ছেলের কাছে শুনেছি, মেয়ের বিয়ে ঠিক করছেন। এ নিয়ে আমার ছেলের তো দেখছি মন খারাপ।

ভাবী, সামনে মারীয়ার মা দাঁড়ানো, তার সাথে কথা বলেন আগে। তারপর না হয় আমার সাথে বলেন। বলেই রসিকতা করে মারীয়ার মাকে ফোন দিতে দিতে বলেন, – দেখ ইমরানের মা ফোন করে কি বলছে। তাদের কথা ইমরানের মা শুনতে পান। তাই ফোন নিয়ে মারীয়ার মা হ্যাঁলো বলার আগেই বলেন, – কি ভাবী, আপনাদের মেয়ে বিয়ে দিচ্ছেন গোপনে আমরা কি সেই দিনের অপেক্ষা করবো? আমাদেরও তো এমন দিন আসতে পারে সামনে।

ছেলে তো দেখলাম ভাবী। মাশশাল্লাহ! আল্লায় দিলে ভালোই হয়েছে দেখতে শুনতে। বিয়ে করানোর কথা ভাবছেন নাকী?

ছেলের বিয়ে ছেলেই ঠিক করে নিবে। আমরা কিছুই বলবো না। ও নিজেই মেয়ে ঠিক করে বিয়ে করে ঘরে নিয়ে আসলে আমরা আশীর্বাদ দিয়ে ঘরে তুলবো ভাবছি।

খরচ বাচানোর জন্যই কি এমন চিন্তা?

খরচের কথা না। আজকালকার যোগে ছেলে মেয়েরা কি আর তাদের বাবা মায়ের জন্য অপেক্ষা করে নাকী? একজন আরেকজনকে ভালো লাগলে নিয়ে ঘরে চলে আসে। ইমরানও না হয় তাই করবে। সমস্যা তো দেখছি না। তা ইমরান বলল, আপনারা নাকী সবাই মিলে কোথায় ঘুরতে যাবেন, আমরা কি সাথে যেতে পারবো নাকী?

ভাবীর পুরোনো সেই অভ্যাসটা এখনও গেলো না দেখছি। সব সময় খোঁচা মেরে কথা বলে কি যে শান্তি পান আপনি, বুঝি না।

কেন ভাবী আবার কি হলো? এতদিন পর ফোন করেও যদি সেই আগের কথাই শুনতে হয় তাহলে তো দেখছি সমস্যা। ভাই দেশে ব্যবসা বানিজ্য করছেন এখন আপনাকে তো বদলানোর কথা। মেয়ে বড় হয়েছে। কিছুদিন পর শ্বাশুড়ী হবেন। তার পর দাদী। এখনও যদি ছাত্র জীবনের মত কথা বলেন তাহলে কি চলবে? তা বলেন এবার, কোথাকার ছেলে? ওদের মেয়ে পছন্দ হয়েছে কি না? মারীয়ার মত আছে তো এই বিয়েতে? নাকী মারীয়ার বাবা একাই মত দিয়ে মেয়েকে বিয়ে দেবার ব্যবস্থা করছেন।

আপনি তো আপনার ভাইকে ভালোই চিনেন। নতুন করে কি বলবো।

ভাবী একদিন আসেন বাসায়, বেড়িয়ে যান।

আপনি আসতে পারেন তো। ইমরান বাসা চিনে গেছে। এখন তো সমস্যা হবার কথা না।

ভাবী একদম সময় পাই না।

সময় পান না এত কি কাজ করেন। ভাই দেশে নেই সারাদিন তো ঘরেই থাকেন।

আরে না ভাবী। আপনাদের বাসায় লাস্ট গেলাম যে, তারপরই আপনার ভাইয়ের সাথে ঝগড়া করে ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছিলাম। এম বি এ টা পাশ করে একটা কলেজে জয়েন করেছি। কলেজে ছেলে মেয়েদের পড়িয়ে সময় একদম হয় না। কোথাও যাই না আমি।


ইমরানের মার কথা শুনে মারীয়ার মা থমকে যান। এমন ভাবে থমকে যাবার পর চেহারায় ফুটে উঠে। মিরাজ দেখে প্রশ্ন করেন, – কি হয়েছে?


মারীয়ার মা তার উত্তর না দিয়ে ইমরানের মায়ের কথার সাথে তাল মিলিয়ে বলেন, – আপনি বলেন কি ভাবী? জানতাম না তো? আপনার কথা শুনে তো এখন আমার হিংসে করছে। বলেই বলেন, – শোনেন ভাবী, আপনি মারীয়ার বাবার সাথে কথা বলেন, আমি পরে কথা বলবো। আর শোনেন আপনি ইমরানকে নিয়ে এর মধ্যে একদিন চলে আসেন বাসায়। বলে মোবাইল ফোন মিরাজের হাতে দেন।


মিরাজ ফোন সামনে নিয়ে দেখেন লাইনে এখনও আছেন কিনা। স্ক্রিনে তখনও পিটপিট করে সময় বাড়তে থাকে দেখে বুঝতে পারেন এখনও যে লাইনে আছেন। তাই বলেন, – ভাবী ছেলে তো মাশশাল্লাহ অনেক বড় হয়ে গেছে। তা, বিয়ে টিয়ে করাবেন নাকী বাবার কাছে বিদেশ পাঠিয়ে দিবেন। ছেলে যেহেতু হয়েছে বিয়ে তো করাতে হবেই একদিন। শোনেন, পরে একবার আমার নাম্বারে ফোন দিয়েন কথা বলবো। এখন একটু ব্যস্ত আছি।
ইমমরানের মা আসলে কোন কিছুতেই ব্যন্ত না। তারপরেও ইমরানের সামনে এর বেশী কিছু না বলার জন্য ব্যস্ততার অযুহাত দেখিয়ে ফোন কাটেন। ফোন কাটার আগে শুধু বলেন ইমরানের কাছ থেকে তার মোবাইল নাম্বার চেয়ে নিতে। বলেই কেটে দেন।

(চলবে)

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত দ্বিপ্রহর ডট কম-২০১৭-২০২০
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazardiprohor11