ঝিনাইদহের শৈলকুপায় এক প্রতারক, ভুয়া তালাকনামা দেখিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেছে।
জানা যায়, শৈলকুপা উপজেলার বকশীপুর গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের পুত্র আব্বাস আলী ভুয়া তালাকনামা দেখিয়ে শৈলকুপার হাবিবপুর গ্রামের মো: জালাল উদ্দিনের মেয়ে জুলিয়া খাতুনকে ১০ মাস আগে বিয়ে করে। বিয়ের সময় তার কোন বউ নেই বলে দাবী করে এবং বলে তার বউ তাকে তালাক দিয়েছে মর্মে একটা ভুয়া তালাকনামা ম্যারেজ রেজিষ্টারের কাছে দাখিল করে দ্বিতীয় বিয়ের কাজ সম্পন্ন করে।
অথচ খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সে চুয়াডাঙ্গা জেলার নবীনগর গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে রিক্তা খাতুনকে ৯ বছর আগে বিয়ে করে। বেশকিছুদিন হলো রিক্তা খাতুন রাগারাগি করে বাবার বাড়ি চলে যায়। আব্বাস আলি এই সুযোগে রিক্তা খাতুনের সই জাল করে ২য় বিয়ের পিরীতে বসে । অথচ রিক্তা খাতুনের সাথে তার কোন বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটেনি। রিক্তা খাতুনের আগেও সে আর একটি বিয়ে করে। বিয়ে করা তার নেশা। একের পর এক প্রতারণা করা তার উদ্দেশ্য। বর্তমানে জুলিয়া গর্ভবতী আবার এদিকে রিক্তা খাতুন আব্বাসের বাড়িতে এসে স্ত্রীর পরিচয় নিয়ে হাজির।
এ ব্যাপারে জুলিয়া বলেন ১ম ও ২য় বিয়ের কথা গোপন করে সে আমাকে বিয়ে করেছে। যেহেতু আমি সতীন দেখে আব্বাসকে বিয়ে করিনি, সেহেতু সতীনের ঘরে আমি যাবো না। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।
শৈলকুপা ম্যারেজ রেজিষ্টার কাজী মনিরুল ইসলাম বলেন আব্বাস ২য় বিয়ে করতে আসলে আমি ১ম স্ত্রীর তালাকনামা চাই তখন সে একটি তালাকনামা দেখায় সেই অনুসারে আমি বিবাহ রেজিষ্ট্রি করি। এখন শুনছি সেই তালাকনামা ভুয়া তবে এই প্রতারকের বিচার হওয়া উচিত।
এ ব্যাপারে আাব্বাস আলী এ প্রতিবেদককে বলে আমার বউ চলে গিয়েছিল তাই ২য় বিয়ে করার জন্য এই প্রতারণা করেছি ,আমাকে মাফ করে দেন। এদিকে অসহায় সন্তান সম্ভবা জুলিয়া বিচারের দাবিতে সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।