গাইবান্ধার মেয়ে ঐশী ইসলাম। বাবা মার চাকরীর সুবাদে থাকেন রংপুর জেলায়। পড়াশুনা করছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গনিত বিভাগে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে। ছোট বেলা থেকে দেখা মায়ের কারুকাজ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজের উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প শুনিয়েছেন ঐশী। তার প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়েছেন ঐশ্বীকা।
ঐশী দ্বিপ্রহরকে বলেন, ছোটবেলায় আম্মুকে দেখতাম সেলাইয়ের কাজ করত টুকটাক শখের বসে প্রায়ই রঙ্গিন রঙ্গিন “ওয়ালমেট” বানাতো। দেখে অনেক অবাক হতাম কিভাবে সামান্য সুতা দিয়ে এত চমৎকার ডিজাইন ফুটে উঠতে পারে। সেই ছোট্ট মনে এসব রঙ্গিন কারুকাজ হয়তো দাগ কেটেছিল। সেটা আমার আম্মু বুঝেতে পেরেছিলেন তাই রীতিমত জোর করেই আর্ট স্কুলে ভর্তি করে দিয়েছিল।
এভাবেই আর্ট এর যাত্রা শুরু। আমার মুলত ঘর সাজাতে অনেক বেশি ভালো লাগে তাই রং তুলি নিয়ে বসে যাই দেয়ালে পেইন্টিং করতে। মজার বিষয় হল আমি যাই করিনা কেন আমার বাবা মা আমাকে অনেক বেশি সাপোর্ট করে সব বিষয়ে।হোক সেটা দেয়ালে রং করে দেয়াল নস্ট করা অথবা জামা কাপড়ে পেইন্ট করে বিক্রি করা। সকল বাবা মা কে নিজের বাচ্চা দের প্রতিভাকে প্রাধান্য দেয়া উচিত আমার বাবা মার মত।তাহলে দেখা যাবে প্রতিটি ঘর থেকে একজন করে উদ্যোক্তা বের হবে।
তিনি বলেন, যেখানে অনেকে তার ছেলে মেয়েকে কর্পোরেট দুনিয়ায় বা বিসিএস ক্যাডার হওয়ার উপদেশ দেয় সেখানে আমার বাবা উদ্যোক্তা হওয়ার উপদেশ দেন কারণ এতে আমি অনেক মানুষের কর্ম সংস্থান তৈরি করে দিতে পারব।
আমি মূলত হ্যান্ড পেইন্টেড টি-শার্ট নিয়ে কাজ শুরু করেছি খুব অল্প দিন থেকে। তবে হ্যান্ড পেইন্টেড কুর্তি, শাড়ি, ব্লাউজ, পাঞ্জাবী, কুশন, বিছানার চাদর এসব নিয়েও কাজ শুরু করবো খুব তাড়াতাড়ি। হ্যান্ড পেইন্টেড জিনিস পত্রকে নিয়ে আরো সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাচ্ছি কারণ এতে আমাদের দেশের রঙ্গিন সংস্কৃতি ফুটে ওঠে।