1. mdabirhossain.6894@gmail.com : Abir Hossain : Abir Hossain
  2. info@diprohor.com : admin :
  3. bappi.kusht@gmail.com : Bappi Hossain : Bappi Hossain
  4. biplob.ice@gmail.com : Md Biplob Hossain : Md Biplob Hossain
  5. enamulkhanbd@yahoo.com : Enamul Khan : Enamul Khan
  6. mahedi988.bd@gmail.com : Mahedi Hasan : Mahedi Hasan
  7. mamunjp007@gmail.com : mamunjp007 :
  8. media.mrp24@gmail.com : এস এইচ এম মামুন : এস এইচ এম মামুন
  9. rakib.jnu.s6@gmail.com : Rakibul Islam : Rakibul Islam
  10. mdraselali95@gmail.com : Rasel Ali : Rasel Ali
  11. rockyrisul@gmail.com : Rocky Risul : Rocky Risul
  12. rouf4711@gmail.com : আব্দুর রউফ : আব্দুর রউফ
  13. sohan.acct@gmail.com : Sohanur Rahman : Sohanur Rahman
জাপানে খালেদা জিয়া’র জন্মদিন পালন, স্বাচিপে’র প্রতিবাদ | দ্বিপ্রহর ডট কম
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৭ পূর্বাহ্ন

জাপানে খালেদা জিয়া’র জন্মদিন পালন, স্বাচিপে’র প্রতিবাদ

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম: বুধবার, ২৬ আগস্ট, ২০২০
  • ৩২৯ বার পঠিত

জাপানে ১৫ আগস্ট উপলক্ষ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া’র জন্মদিন পালন করে জাপান বিএনপি। ফলে ফেসবুকে নিজের প্রোফাইলে প্রতিবাদ পত্র লিখেন স্বাধনীতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ), জাপান শাখা’র আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ খান। নিচে তার স্ট্যাটাসটি হুবুহু তুলে ধরা হল।

“জাপান বি এন পি এর ১৫ই আগস্ট জন্মদিন (মিথ্যা দিন) পালনের প্রতিবাদ”
যেকোনো রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা সাধারণত চাটাবাদ, উগ্রবাদ, হালকা উগ্র-
হালকা সাম্য, সাম্যবাদ এইসব শ্রেণীতে বিভক্ত। ১৫ই অগাস্টে জন্মদিন পালন, বি এন পি এর চাটাবাদ শ্রেণী, জাতীয় বিভক্তিই যাদের রাজনীতি, তাদের মস্তিস্ক প্রসূত, রাজনৈতিক শিষ্টাচারের সর্বনিকৃষ্ট উদাহরন।


একথা সত্যি যে, ১৫ই অগাস্ট এর পটভূমি নিয়ে আমাদের কথা এবং বিরোধীদের কথা ভিন্ন কিন্তু তাই বলে জন্মদিন পালন!!! রাজনীতি তে যুক্ত থাকার কারণে এটা বলতে পারি যে বি এন পি এর সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশও , জন্মদিন পালনে ব্যথিত।


বাংলাদেশে প্রতিহিংসার রাজনীতি আওয়ামীলীগ শুরু করে নি। প্রতিহিংসার রাজনীতি শুরু হয়েছিল সপরিবারে বঙ্গবন্ধু কে হত্যার মধ্য দিয়ে, ইমডেমনিটি জারির মাধ্যমে।


১৯৯১ সালে বিএনপি এবং ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকার পরিচালনা করলেও, রাজনীতিক দলের পারস্পারিক নুন্যতম শ্রদ্ধাবোধ ছিল। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে, স্বাধীনতা বিরোধীদের জাতীয় পতাকা দেওয়া, আওয়ামীলীগের উপর নৃশংস হত্যাযজ্ঞ, সংখ্যালঘুদের হত্যা, ধর্ষণ এবং সর্বোপরি ২১ শে অগস্ট ও জজ মিয়াঁর আগমন, পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধের কফিনে শেষ পেঁরেক ছিল।


আওয়ামীলীগ ২০০৯ সরকার গঠন করে প্রতিহিংসাতে যাইনি। বরং দেশের সকল বিবেক সম্পন্ন সাধারণ মানুষ এবং আওয়ামীলীগ কর্মীদের মনের চাওয়াকে বাস্তবায়ন করেছে।
বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার হত্যার বিচার, জাতীয় চার নেতার হত্যার বিচার, যুদ্ধ-অপরাধীর বিচারই সাধারণ মানুষ ও আওয়ামীলীগের সমর্থকদের প্রধান দাবী। কারণ দেশ ওখানেই, ঐ ইমডেমনিটিতেই আটকে ছিল, কলঙ্কিত ছিল। সত্যি তো এই যে , বিএনপি -জামায়াত, সাধারণ জনগণকে বুঝাতো বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বা যুদ্ধঅপরাধীর বিচার আওয়ামীলীগ করবে না, এটা শুধু মাত্র আওয়ামীলীগের রাজনীতি।


নেত্রীর দৃঢ়টায়, সাধারণ আদালতে বিচার হয়েছে, রায় কার্যকর হয়েছে। আমাদের মত সাধারণ সমর্থকদের আওয়ামীলীগের কাছে চাওয়ার আর কিছু নাই।


কোন এক অজ্ঞাত কারণে, চাটার দলই সরকারকে সব সময় প্রভাবিত করে, তাতে সরকারে আওয়ামী লীগ হোক বা বিএনপি হোক। চাটার দলের ক্ষুদ্র এই গোষ্ঠীর কাছে সকল রাজনৈতিক দলের পরাজয়ই বাংলাদেশে প্রধান সমস্যা।


এমনকি বঙ্গবন্ধু ও নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছে এই চাটার দলের কাছে। এদের চাটার এবং পাবার কোন শেষ নাই। সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যা , জাতীয় চার নেতা হত্যা, ২১শে অগস্ট নেত্রীর বেচে থাকা, হাজার হাজার নেতা-কর্মী-সমর্থকের জীবনদান, কোন কিছুই এই গোষ্ঠীর চাটা থামায় নাই।


আওয়ামীলীগও এই চাটার দলেই বারবার কলঙ্কিত। আমি চিকিৎসক রাজনীতির সাথে যুক্ত। গতদশ বৎসরে দেশের অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক সাফল্য, আজ ভুয়া করোনা টেস্ট রিপোর্টে ম্লান। আওয়ামীলীগ সমর্থিত চিকিৎসক হিসাবে দায়িত্ব এড়িয়ে যাবার সুযোগ কোথায়, যেখানে দেশের স্বাস্থ্য-খাত পুরোটাই আওয়ামীলীগ নিয়ন্ত্রিত। এই ভুয়া টেস্ট রিপোর্টের কারণে দেশের সম্মান, বিশ্বাসযোগ্যতায় কোথায় নেমেছে, প্রবাসীরাই সব চেয়ে ভালো জানে। আওয়ামীলীগ সমর্থক চিকিৎসক হিসাবে লজ্জিত, মস্তক অবনমিত।
জাপানে প্রবাসী বাঙ্গালীদের কাছ থেকে দেখার সুযোগ অল্পদিনের, যখন পিএইচডি ছাত্রাবস্থায় (২০০৮-২০১৩) পহেলা বৈশাখ (টোকিও’র ইকেবুকোরু) এ শুধু যেতাম। পিএইচডি শেষে দেশে ফিরি, আবার ২০১৭ তে JSPS Post Fellow (২০১৭-১৯) হিসাবে টোকিও মেডিক্যাল এন্ড ডেন্টাল কলেজে যোগদান করি, আর বর্তমানে এখনেই কর্মরত।


জাপানে বাঙ্গালী কমুনিটির আকার খুব বড় না। এখানে বিভিন্ন জেলা-ভিত্তিক সংগঠন, কিছু সাংস্কৃতিক প্রেমী মানুষের সংগঠন আছে । তাদের প্রোগ্রামগুলোতে দল-মত সকলের অংশগ্রহণ থাকে। গতদুই বৎসরে অনুষ্ঠিত “টোকিয়ো বইমেলা” ছিল অনন্য, নতুন দিগন্তের বার্তাবহ, পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধে পরিপূর্ণ।


জাপান প্রবাসীদের বিভক্তি শুধুমাত্র বাংলাদেশের জাতীয় দিনগুলতে। শুধুমাত্র জাতীয় দিনগুলোতেই এখানে চেনা যায় কে কোন দলের, অথচ সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সবাই অনেক কাছের। বিশ্বে বাংলাদেশই একমাত্র দেশ, যেখানে জাতীয় দিবসেও রাজনৈতিক দলগুল বিভক্ত, আর এই বিভক্তিই সকল দলের চাটাবাদের বিজয়গাঁথা।


সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন, বিএনপির চাটাবাদের সেরা আবিষ্কার, চির-বিভক্তির অব্যর্থ মরণাস্ত্র।

জাপান বিএনপি র ১৫ ই অগাস্ট এ জন্মদিন পালনের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বাংলাদেশী হিসাবে এটা সবার জন্য অসম্মানজনক যে দেশের এক জন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক প্রোফাইলে “Birth date discrepancy” নামক একটা প্যারা যুক্ত আছে, যেখানে লেখা….


“Zia claims 15 August as her birthday, which is a matter of controversy in Bangladesh politics. 15 August is the day many immediate family members of Zia’s political rival, Sheikh Hasina, including her father Sheikh Mujibur Rahman were killed. As a result of the deaths, 15 August is officially declared National Mourning Day of Bangladesh. None of Zia’s government issued identification documents show her birthday on 15 August. Her matriculation examination certificate lists a birth date of 9 August 1945. Her marriage certificate lists 5 September 1945. Zia’s passport indicates a birth date of 19 August 1945.


আওয়ামীলীগের অনেক ভুল শাসন/অন্যায় থাকতে পারে, কিন্তু ১৫ই অগাস্ট যদি জন্মদিন পালন করেন, লজ্জিত হই নিজ দলের চাটাদের সামনে। ১৫ই অগাস্ট জন্মদিন পালন পূর্বে wikipedia এর তথ্য পরিবর্তন করুন।


বাংলাদেশ সম্ভবনাময়। জাতীয় বিভক্তিই রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের মূলভিত্তি। দেশে যারা রাজনৈতিক বিভক্তির পৃষ্ঠপোষক, তাদের স্বার্থ আছে। যত বিভক্তি, তত মুনফা। সুতরাং, দেশে কখনো এই বিভক্তি শেষ হবে কিনা জানা নাই।


কিন্তু জাপানে তো দুই/একটা চেয়ার ছাড়া কিছু নাই, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের জন্য। বরং উধাহরন সৃষ্টির সুযোগ আছে। প্রবাসে আমরা সবাই প্রবাসী। সামাজিক সৌহার্দ রাজনীতিতে বিরাজ করলে প্রবাসেও দেশ এগিয়ে যায়। কিন্তু ১৫ আগস্ট জন্মদিন (মিথ্যা দিন) পালন করলে আর সৌহার্দ বজায় রাখলে, জাতির পিতার রক্তের সাথে বেঈমানই হয়।


বিএনপি’র জন্ম হয়েছে ৭৫ এর অনেক পরে. ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন করে, বিএনপি কাদের স্বার্থ হাসিল করে !?


জাপান বি এন পি এর ১৫ই আগস্ট জন্মদিন (মিথ্যা দিন) পালনের প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং ভবিষ্যতে না করা বিনীত অনুরোধ পেশ করছি।
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
জয় শেখ হাসিনা
ডাক্তার টুটুল
আহ্বায়ক
স্বাচিপ, জাপান

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত দ্বিপ্রহর ডট কম-২০১৭-২০২০
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazardiprohor11