1. mdabirhossain.6894@gmail.com : Abir Hossain : Abir Hossain
  2. info@diprohor.com : admin :
  3. bappi.kusht@gmail.com : Bappi Hossain : Bappi Hossain
  4. biplob.ice@gmail.com : Md Biplob Hossain : Md Biplob Hossain
  5. enamulkhanbd@yahoo.com : Enamul Khan : Enamul Khan
  6. mahedi988.bd@gmail.com : Mahedi Hasan : Mahedi Hasan
  7. mamunjp007@gmail.com : mamunjp007 :
  8. media.mrp24@gmail.com : এস এইচ এম মামুন : এস এইচ এম মামুন
  9. rakib.jnu.s6@gmail.com : Rakibul Islam : Rakibul Islam
  10. mdraselali95@gmail.com : Rasel Ali : Rasel Ali
  11. rockyrisul@gmail.com : Rocky Risul : Rocky Risul
  12. rouf4711@gmail.com : আব্দুর রউফ : আব্দুর রউফ
  13. sohan.acct@gmail.com : Sohanur Rahman : Sohanur Rahman
হঠাৎ অসুস্থতায় জরুরি চিকিৎসাঃ (এগার) - কুকুরে কামড়ালে করণীয় | দ্বিপ্রহর ডট কম
মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১০:০৩ পূর্বাহ্ন

হঠাৎ অসুস্থতায় জরুরি চিকিৎসাঃ (এগার) – কুকুরে কামড়ালে করণীয়

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম: সোমবার, ১৬ মে, ২০২২
  • ১২২ বার পঠিত

কুকুরে কামড়ালে জরুরি ভিত্তিতে করণীয়ঃ
১. আক্রান্ত ব্যক্তির ভীতি দূর করতে হবে।
২. কুকুর যাতে পর পর অনেককে কামড়াতে না পারে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
৩. ভাল করে ক্ষতস্থান সাবান ও প্রচুর পানি দিয়ে ধুতে হবে এবং শুকানোর পর শুকনা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে যেন ইনফেকসন না হয়।
৪. কোন ভাঙ্গা দাঁত বা অন্য কোন অংশ ভিতরে আছে কি না পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
৫. নিরাপদ থেকে যদি সম্ভব হয়, তবে পরে বর্ণনা করা যায় এমন ভাবে কুকুরটিকে  দেখতে হবে এবং সম্ভব হলে পরবর্তী ১০-১৫ দিন ঐ কুকুরের গতিবিধি লক্ষ্য রাখতে হবে। দেখতে হবে ঐ কুকুরের অসুস্থতা আছে কি না।
৬. কুকুরের প্রতি লক্ষ্য রাখা সম্ভব হলে, যদি দেখা যায় কুকুরটি অসুস্থ তাহলে অনেকটা নিশ্চিত যে যাকে কামড়িয়েছে তার শরীরেও জীবাণু প্রবেশ করেছে। যদি দেখা যায় কুকুরটি সুস্থ্ তাহলে যাকে কামড়িয়েছে তার শরীরে জীবাণু প্রবেশের সম্ভাবনা খুবই কম। মনে রাখা দরকার যে কুকুর এই জীবাণুর ক্যারিয়র নয়, কুকুরের শরীরে এই জীবাণু থাকা মানে কুকুরটি নিজেও আক্রান্ত এবং সেও মারা যাবে।

কুকুরে কামড়ালে যে বিষয়গুলির ব্যাপারে সাবধান থাকা জরুরিঃ
১. কখনোই ক্ষতস্থান কাটবে না বা শুষবে না, এতে ইনফেকসন হতে পারে।
২. কখনোই ক্ষতস্থানে বরফ লাগাবে না, এতে ফ্রস্ট বাইট হতে পারে।
৩. কখনোই ক্ষতস্থানে ইলেক্ট্রিক সক দেবে না।
৪. কখনোই ক্ষতস্থানে তাগা বা ডোরা (টরনিকুয়েট) বাঁধবে না, যেটি সাপে কামড়ালে বাঁধতে হয়।

বিশেষ জ্ঞাতব্যঃ
১. কুকুর বিড়াল বা যে কোন গৃহপালিত পশুর দেহেই জলাতঙ্ক বা র‌্যাবিসের জীবাণু থাকতে পারে। তবে এ প্রাণিগুলির কোনটিই জীবাণুটির ক্যারিয়ার নয় অর্থাৎ এরা লক্ষণ বা উপসর্গবিহীন তাদের শরীরে জীবাণুটি বহন করতে পারে না। এদের শরীরে জীবাণুটি ঢুকলে প্রাণিগুলিও আক্রান্ত হয় এবং মারা যায়।
২. র‌্যাবিস একটি ভাইরাস। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তাকে র‌্যাবিস বা বাংলায় জলাতঙ্ক বলে।
৩. এ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হলে কোন কিছু গিলতে গেলে গলার মাংশপেশীগুলি সাংঘাতিকভাবে কন্ট্রাক্ট করে বা সঙ্কুচিত হয়ে অসহ্য ব্যথা হয়। পানি গিলতে গেলেও ঘটনাটি ঘটে বলে পানি দেখলে রোগী খুব ভয় পায়। একারণেই রোগটিকে জলাতঙ্ক বলে। জল দেখে আতঙ্ক বলেই জলাতঙ্ক।
৪. প্রচলিত মিথ অনুযায়ি পাগলা কুকুরে কামড়ালে রোগীর পেটে কুকুরের বাচ্চা হতে পারে, এটি একেবারেই ঠিক নয়।
৫. প্রচন্ড অসুস্থতার কারণে রোগী তার স্বাভাবিক বুদ্ধিজ্ঞান প্রয়োগ করতে ব্যর্থ হয় বলে নানান অস্বাভাবিক আচরণ করে। কুকুর যেমন পাগল হয়ে যায় মানুষের ক্ষেত্রেও তেমন হতে পারে।
৬. র‌্যাবিস প্রতিরোধযোগ্য রোগ তবে প্রতিশেধকযোগ্য নয়। অর্থ্যাৎ রোগটির লক্ষণ দেখার পূর্বেই টিকা নিলে আর রোগটি হয় না, তবে একবার হয়ে গেলে আর তা সারানো সম্ভব নয়, নিশ্চিত মৃত্যু।
৭. কুকুরে, বিড়ালে কামড়ালে যদি তাদের শরীরে র‌্যাবিস জীবাণু থাকে তবে তাদের শরীরেও রোগের লক্ষণ দেখা যাবে এবং কামড়ানো প্রাণিটি মারা যাবে। যদি দেখা যায় যে প্রাণিটি সুস্থ্য আছে তবে ধরে নিতে হবে নিজের শরীরেও জীবাণুটি ঢোকেনি। তবে সন্দেহ না রেখে টিকা নিতে কোন অসুবিধা নেই।
৮. কুকুরে, বিড়ালে কামড়ালে যদি তাদের শরীরে র‌্যবিসের জীবাণু না-ও থাকে তবে টিকা নিতে কোন অসুবিধা নাই বরং নেওয়াই শ্রেয়।
৯. দেশে র‌্যাবিসের ঠিকা পর্যাপ্ত পরিমান মজুদ আছে। যে কোন অসুবিধায় ঢাকার মহাখালিস্থ ইনফেকসাচ ডিজিজ হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে। এটি একটি সাততলা হাসপাতাল বলে ঐ এলাকার নামও সাততলা।
১০. ব্যবিসের জীবাণু শরীরে ঢুকলেও চিন্তার কোন কারণ নেই। জীবানুটি শরীরে ঢোকার পরে ১৪ দিন পর্যন্ত নিস্ক্রিয় থাকে। ফলে ১৪ দিনের মধ্যে টিকা শুরু করতে পারলেই হয়। ৫টি টিকা নিলে রোগটি হবার কোন নম্ভাবনা থাকে না।
১১. দেশের উপজেলা হাসপাতালগুলিতে র‌্যবিসের টিকা পাওয়া যায়। এজন্যে বেসরকারী হাসপাতালে না যাওয়াই শ্রেয়। টিকার জন্য অবশ্যই সরকারী হাসপাতালে যাবেন।   

(যুক্তিযুক্তের লিখিত এবং অন্বেষা প্রকাশন থেকে প্রকাশিত ‘হঠাৎ অসুস্থতায় জরুরি চিকিৎসা’ গ্রন্থ থেকে সঙ্কলিত)   

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত দ্বিপ্রহর ডট কম-২০১৭-২০২০
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazardiprohor11