যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৪ উদযাপিত হয়েছে ।
(১৭ মার্চ ২০২৪, রবিবার) টোকিওতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও শিশুদের পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে জাপানে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি, আমন্ত্রিত জাপানি অতিথি ও বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে জাতীয় সংগীতের সাথে সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ।
আলোচনা সভার পূর্বে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্য, মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের আত্মার শান্তি ও মাগফিরাত কামনা এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এরপর জাতির পিতার ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।
রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ তাঁর বক্তব্যে বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, জাতির পিতার নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন ও রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের মধ্যদিয়েই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম হয়। রাষ্ট্রদূত শিশু অধিকার রক্ষা ও শিশুস্বার্থ সংরক্ষণে বঙ্গবন্ধুর গৃহীত পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশে গঠনে আজকের শিশুরাই হবে দিক নির্দেশক। তিনি এর জন্য শিশুদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়ে তুলতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে উম্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জাপানি অতিথি ও জাপান প্রবাসী বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতারা।
আলোচনা সভার পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৪ উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
উল্লেখ্য গত ১৬ মার্চ দূতাবাসে জাপানে বসবাসরত বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
এরপর জাতির পিতার জীবন ও কর্মের উপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আব্দুল্লাহ আল মামুন/টোকিও