এক সময় বাড়ী থেকে গোলন্দাজ কলেজ,
সাইকেল দিয়ে গিয়ে বাড়াতাম নলেজ।
সকালের নাস্তা করতাম কোন রকম,
কলেজ ড্রেস পড়ে ছুটতাম অন্যরকম।
কোন রকম ব্যাগটা পিছনে রেখে ঘুরাতাম প্যাডেল,
শার্টের বোতাম খুলে হতাম সুপারমডেল।
মধুরস্বরে বলে উঠতাম আমি,আমিই প্রেমিক,
সুন্দর সকালে পড়ার কাছে নত একাডেমিক।
আজ ক্লাস ফাঁকি দেওয়ার কোন কোমলতা নেই,
আমি তাই বসে আছি দ্বিতীয় বেঞ্চের সামনেই।
স্যারের চোখে সামনে ভাসছে ফাঁকিবাজদের ছবি,
আমি তাই খাতায় আঁকছি স্যারের মুখচ্ছবি।
এইভাবেই চলছিলো প্রায় এক ঘন্টা,
আকন্ঠ উন্মাদ আমি এইভাবেই করছি কর্মপ্রচেষ্টা।
ক্ষোভে ও ঈষায় সেই হৈমন্তী আজ পলাতক,
আমি পড়াকে পরাজিত করে হয়েছি গুপ্তঘাতক।
আমি ক্লাসকে ক্লাসে রেখে তোমার এখানে এসেছি,
তুমি চেয়ে দেখো আমি ভালোবাসা নিয়ে এখানে বসেছি।
যেখানে চলে কেবলি নলেজ আর নলেজ,
ছাত্র-ছাত্রীর গভীর মনোযোগ আর স্যারের ইমেজ।
তোমার চাহনিতে ধুয়ে দাও,জাগ্রত করো প্রেম,
হঠাৎ তোমার ছুঁয়া পেয়ে মনে হয় আমি কাঁদলাম।
কলেজ দপ্তরি কখন যে ঘন্টা বাজিয়ে দিলো,
আমার আর তোমার প্রেম তখনও চলছিলো।
আবারও সাইকেলের সিরিয়াল থেকে সাইকেল নেওয়া,
আমারও মাঝে-মধ্যে বাড়ীতে হতোনা ঠিক মতো যাওয়া।
এইভাবেই কেটেছিলো আমার দুটি বছর,
এইসব মনে পড়লে আজ বুকে মারে মোচড়।
কলেজের পড়ার হিসেব এখনও মিলাতে পারিনা,
এখন আঙ্গুলের ফাঁক দিয়ে ঝড়ে পড়ে ঐ সব আঙ্গিনা।
আমি আজ রাত্রিবেলায় ঐ সবি ভাবছি,
চোখের জলে নিভৃতে এই সবি আঁকছি।