একসময় স্বপ্ন দেখতাম। শেষ বিকেলে দু’জনে ব্যালকুনিতে বসে গল্প আড্ডায় মেতে উঠবো, খুঁনসুটি করবো, তোমার চায়ের পেয়ালায় ভাগ বসাবো!
টব থেকে একটা গোলাপ ছিঁড়ে তুমি আমার খোঁপায় গুজে দিতে দিতে বলবে, তুমি আজকাল আমার জন্য একটু সাজোনা কেনো? অথচ একদিন তুমি কতোই না সাজতে, তাই তোমার নাম দিয়েছিলাম সাঁজুনি! ভ্রুরু কুচকে আরো কিছু অভিমান ছুঁড়ে দিয়ে বলবে, শরীরের যত্ন নাও আজকাল? মুটিয়ে যাচ্ছো রোজ, সে খেয়াল আছে?
স্বপ্নের চারা গাছটা আদর যত্নে পূর্ণতা পাওয়ার আগেই হঠাৎ করে কোথা থেকে ছুটে এলো সর্বনাশা কালবৈশাখী ঝড়। আকাশ কালো হলো,অন্ধকারে ছেয়ে গেলো আমাদের ঘর, ঘরের আসবাব,আলমারি,শোবার বিছানা,তোষক বালিশ,তোমার পড়ার টেবিল,বই চেয়ার। সেই কালো অন্ধকারে আমি দেখতে পাচ্ছিলাম না তোমার মুখ।
তোমার মুখ না দেখলে আমার যে বড্ড ভয় হয়, হোঁচট খাবার ভয়, একা হয়ে যাবার ভয়। তারপর এক পসলা বৃষ্টি হলো, সাথে ঝড়ো বাতাস। বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দিয়ে গেলো থরে থরে গোলাপে সাজানো ব্যালকুনি। পাখিগুলোর শুরু হলো ঘরে ফেরার তাড়া,গাছের ডালে ডালে ঝড়ের তাণ্ডব নৃত্য।
আমার আর তোমার পেয়ালায় ঠোঁট ভিজিয়ে কফি খাওয়া হলো না।